১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিশাল এক নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ৪২ বছরের মধ্যে প্রথমবার কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পা পড়তে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলায়। কিন্তু তার আগেই বন্দুকযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় যুদ্ধে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন সেনাও ছিলেন।
‘সন্ত্রাসীদের’ উপস্থিতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং পুলিশের একটি দল যৌথ অভিযান শুরু করলে শুক্রবার গভীর রাতে উত্তর কাশ্মীর জেলার পাত্তান এলাকায় বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। সেই অভিযান এখনো চলছে।
এদিন পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাইজিং স্টার কর্পস ইউনিটের সদস্যরা কাঠুয়ায় দুই ‘সন্ত্রাসীকে’ গুলি করে হত্যা করে। ওই অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে ‘যুদ্ধের মতো বড়’ অস্ত্রের মজুত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলায় ‘সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসারসহ (জেসিও) দুই সেনা নিহত এবং সমান সংখ্যক সৈন্য আহত হন।
এদিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার সঙ্গে কিশতওয়ারকে সংযোগকারী ছাতরু বেল্টের নাইদঘাম এলাকা ঘেরাও করে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের একটি যৌথ দল। পরে তারা অনুসন্ধান অভিযান শুরু করলে তুমুল বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।
এসময় চার সেনা সদস্য আহত হন, তাদের মধ্যে দুজন পরে মারা যান। কর্মকর্তারা বলেছেন, একজন সৈন্য গ্রেনেড বিস্ফোরণের স্প্লিন্টারের আঘাতে মারা গেছেন এবং আরেকজনের মাথায় গুলি লেগেছিল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: