ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর যে হামলা চালিয়েছিল, তার এক মাস আগেই এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন এক গবেষক। তবে তাঁর সেই সতর্কবাণী কেউই আমলে নেয়নি। তিনি হলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক মিডল ইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এমইএমআরআই) প্রেসিডেন্ট ইগল কারমন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইগল কারমন ২০২৩ সালের আগস্টের ৩১ তারিখে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। শিরোনাম ছিল, ‘সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সম্ভাব্য যুদ্ধের লক্ষণ।’ এই নিবন্ধ ইসরায়েলে হামাসের হামলার নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ভুলভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের সীমান্ত পেরিয়ে দেশটির অভ্যন্তরে হামলা করে, যা ইসরায়েলের ইতিহাসে একেবারেই নতুন। এই হামলা ইসরায়েলকে হতভম্ব করে দিয়েছিল। হামাসের এই হামলায় অন্তত সাড়ে ১১ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও গাজায় হামলা শুরু করে, যা এখনো চলছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
কারমন তাঁর নিবন্ধে লিখেছিলেন, ‘ইদানীং ক্রমবর্ধমান ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হতে পারে। এতে হিংসাত্মক সংঘর্ষের ফলে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বা নতুন অস্ত্রের ব্যবহারের কারণে ইসরায়েলের অনেক প্রাণহানির কারণ হতে পারে, যার বিপরীতে ইসরায়েল তার নিয়মিত সন্ত্রাস দমনের ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট সফল হতে পারবে না।’
নিবন্ধে কারমন যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তা মূলত ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা থেকে অনুমানের আলোকে করা হয়েছিল। এ ছাড়া হিজবুল্লাহর ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক আকাঙ্ক্ষা এবং ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের প্রতি যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছিল, তাও আমলে নেওয়া হয়েছিল। বিশ্লেষণে কারমন সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, হামাস বা হিজবুল্লাহ কেউই সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য আগ্রহী নয়, তবে অস্থির পরিস্থিতি সহজেই একটি বৃহত্তর সংঘাতে পরিণত হতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: