জার্মানিতে সাম্প্রতিক দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফলে দেশের রাজনীতিতে চরম ডানপন্থার উত্থান নতুন এক বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থী দল ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’ (আএফডি) থুরিংগিয়া রাজ্যে প্রথমবারের মতো ভোটের শীর্ষে উঠে এসেছে। এছাড়া, স্যাক্সোনি রাজ্যে আএফডি, কেন্দ্রে-ডানপন্থী ‘ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন’ (সিডিইউ) কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।
থুরিংগিয়ায় আএফডি’র প্রধান প্রার্থী বিজর্ন হোক্কে, যিনি নাৎসি মতাদর্শের এবং উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য বিতর্কিত। তিনি এবার রাজ্যটির শাসনভার না নিলেও আএফডি যদি থুরিংগিয়ার পার্লামেন্টে এক-তৃতীয়াংশ আসন লাভ করে, তাহলে তারা বিচারক নিয়োগসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাধা দেয়ার ক্ষমতা অর্জন করবে। দ্য ইকনোমিস্টের।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, পপুলিস্ট দল হিসেবে সাহরা ওয়াগেনকনেখ্ট অ্যালায়েন্স (বিএসডব্লিউ) পূর্ব জার্মানির প্রাক্তন কমিউনিস্ট সাহরা ওয়াগেনকনেখ্ট নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। বিএসডব্লিউ’র অভিবাসন এবং ইউক্রেন নিয়ে অবস্থান অনেক সময় আএফডি’র মতই মনে হয়েছে। এই দলটি সিডিইউ’র সাথে মিলে সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে বার্লিন এবং পশ্চিম জার্মানির সিডিইউ নেতাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিডিইউ এবং বিএসডব্লিউ’র সাথে সরকার গঠনের জন্য সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস-এর (এসপিডি) সমর্থন প্রয়োজন হতে পারে। যদিও এসপিডি’র ফলাফল হতাশাজনক এবং তারা এখনো স্থিতিশীল সরকার গঠনের জন্য অপরিহার্য।
এই নির্বাচনের প্রতীকী গুরুত্ব এর ফলাফলের চেয়েও বেশি। আএফডি শুধুমাত্র পূর্ব জার্মানিতেই নয়, বরং সারা দেশজুড়ে সমর্থন পাচ্ছে। দলটি জাতীয় জনমত জরিপে সিডিইউ-এর পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা জার্মান রাজনীতির অজানা জগতে প্রবেশের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সূত্র : দ্য ইকোনোমিস্ট
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: