বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা : পুলিশি বাধা, মমতার পদত্যাগ দাবি আন্দোলনকারীদের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৭ আগস্ট ২০২৪ ১৮:০২

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

উত্তাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে সেখানের জনতা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তুলেছে। বিক্ষোভ দমনে চড়াও হয়েছে কলকাতার পুলিশ। ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে সাধারণ বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তারা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।

এতে বলা হয়, বিক্ষোভ দমনে কলকাতায় অতিরিক্ত ৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে পশ্চিমবঙ্গের সরকার। এদিন সচিবালয় ঘেরাও করতে অগ্রসর বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। তাদের দাবি প্রতিবাদ মিছিলের কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। তৃণমূল বলছে নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে একটি মহল।

পুলিশের দমন-পীড়নে কার্যত কলকাতা এখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর নজর রাখতে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে একদল বিক্ষোভকারী আরজি কর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে নবান্নের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তারা ভয়াবহ এমন ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মমতার পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন। বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছে স্থানীয় একাধিক ছাত্র সংগঠন ও নাগরিক ফোরাম।

নবান্নের দিকে যাওয়ার পথে মিছিল রুখতে পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। সেসময় আন্দোলনকারীদের ব্যারিকেড ভেঙ্গে সামনে আগানোর চেষ্ট করতে দেখা যায়। তৃণমূলের দাবি এই আন্দোলন এখন আর সাধারণ জনতার হাতে নেই, এটি এখন একটি বিজেপি-সমর্থিত প্রতিবাদ। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলটির দাবি আজ বেশির ভাগ ছাত্র সংগঠনই বিজেপির ডাকা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে। ছাত্ররা আজকের মার্চের সময় বড় আকারের সহিংসতা সংগঠিত করার পরিকল্পনা করছিল ‘এবং হত্যা ও হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করছে বেঙ্গল পুলিশের কর্মকর্তারা। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরিবারকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে এটি কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক শুভঙ্কর হালদার। তিনি বলেছেন, এক সময়ে তিনি এবিভিপি দলের সদস্য ছিলেন, কিন্তু এখন আর সংগঠনের সাথে যুক্ত নন। তিনি বলেন, এই বিক্ষোভ একটি অরাজনৈতিক প্রতিবাদ।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: