ইরানের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর শোক যেতে না যেতেই সামনে এলো চাঞ্চল্যকর আরেক তথ্য। দুবারের জনপ্রিয় সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদও না কি একই ধরনের পরিণতি ভোগ করতে যাচ্ছিলেন।
গত মাসে সুপ্রিম কাউন্সিলের আপত্তির মুখে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেননি আহমাদিনেজাদ। এ নিয়ে হতাশা ছিল তার। এবার তাকে হত্যার এক ষড়যন্ত্রের খবর প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে চমকে ওঠার মতো এক খবর দেয় সম্প্রচারমাধ্যমটি। গেল ১৫ জুলাই এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, অনেকটা রাইসির কায়দায় আততায়ী হামলার শিকার হতে যাচ্ছিলেন আহমাদিনেজাদ। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জানজান যাওয়ার কথা ছিল তার।
কিন্তু গাড়িতে ওঠার আগে সম্প্রতি মেরামত করা আহমাদিনেজাদের ল্যান্ড ক্রুজার খতিয়ে দেখেন তার নিরাপত্তা প্রধান। তখন তিনি কিছু ত্রুটির কথা উল্লেখ করে, আহমাদিনেজাদকে অন্য গাড়িতে চড়তে বলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, আহমাদিনেজাদ অন্য গাড়িতে উঠলে তার সফরসঙ্গীরা ওই ল্যান্ড ক্রুজারে ওঠেন। জানা গেছে, গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা মাঝ রাস্তায় গিয়ে বুঝতে পারেন গাড়িটির স্টিয়ারিং ও ব্রেক ঠিকমতো কাজ করছে না। ল্যান্ড ক্রুজারটি তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য গাড়িতে ধাক্কা দেয় এবং শেষ পর্যন্ত মহাসড়কে থেমে যায়।
এসময় গাড়িটি তিনবার ঘূর্ণি খায় এবং কয়েকবার ডানে-বামে যাওয়ার পর ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে অন্য গাড়িকে ধাক্কা দেয়।
সূত্রের বরাতে ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানায়, ঘটনার পাঁচ দিন পর ২১ জুলাই ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের’ ব্যর্থ হওয়া আততায়ী হামলার কথা জানান আহমাদিনেজাদ। এসময় তিনি অভিযোগ করেন, এর আগেও তার ওপর কয়েকবার ব্যর্থ আততায়ী হামলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, মেরামত করা ল্যান্ড ক্রুজারটি প্রেসিডেন্টসিয়াল অফিসের মেরামত শাখার তত্ত্বাবধানে ছিল।
কিন্তু তারা গাড়িটি নির্ধারিত দোকানে না দিয়ে ‘স্পেশাল সিকিউরিটি এজেন্টদের’ হাতে তুলে দেয়। তারা গাড়িটি অজানা কোথায় নিয়ে যায়।
ওই ব্যক্তিদের সাংগঠনিক অবস্থানের ভিত্তিতে তারা ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ৩টি সাব ইউনিট- ইন্টিলিজেন্স অর্গানাইজেশন, কাউন্টারইন্টিলিজেন্স অর্গানাইজেশন বা ভালি-ই-আমর’র সদস্য হতে পারেন বলে জানিয়েছে ইরান ইন্টারন্যাশনাল। আনসার প্রোটেকশন কর্পসের সঙ্গে সমন্বয় না করেই এসব ইউনিট চাইলে প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে আহমাদিনেজাদের গাড়ি নিয়ে যেতে পারে।
অবশ্য ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর ঘনিষ্ঠ সূত্র আহমাদিনেজাদের গাড়িতে ইস্যুর কথা স্বীকার করলেও অন্য তথ্য অস্বীকার করেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: