জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক একটি বৈঠক কিছু সময়ের জন্য বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ১৭ জুলাই, বুধবার দুই প্রতিবাদকারী ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে এবং গাজায় হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে চিৎকারে বৈঠকটি বাধাগ্রস্ত হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘের ইসরায়েলি দূত গিলাদ এরডানের বিবৃতির পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ যখন বক্তব্য শুরু করতে যান তখন ওই দুই নারীর এই প্রতিবাদ শুরু হয়। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে প্রতিবাদের ঘটনা বিরল।
জুলাই মাসের জন্য রাশিয়া পরিষদের সভাপতি হওয়ায় ল্যাভরভ বৈঠকের সভাপতিত্ব করছিলেন। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারছি না, আরও স্পষ্টভাবে বলুন। আপনাদের মধ্যে একজন স্পষ্টভাবে বলতে পারেন যে, আপনি কী বলতে চান। আমি দেখছি আপনারা তা করতে ইচ্ছুক নন, ঠিক আছে।
নিরাপত্তা পরিষদের কক্ষের কূটনীতিকরা জানান, কালো পোশাক পরিহিত নারীরা ‘জিম্মিদের মুক্তি দাও’ বলে চিৎকার করছিলেন।
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের কক্ষ ত্যাগ করার জন্য বলেন এবং নারীরা চলে যান।
ইসরায়েলের জাতিসংঘ মিশন তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রতিবাদ সম্পর্কে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
২৩ লাখ জনসংখ্যার অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি উপত্যকায় ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ওই দিন দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণ করে হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলের দাবি, হামলায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। জবাবে গাজায় শুরু করা যুদ্ধে প্রায় ৩৯ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: