মুসলিম নারীরাও খোরপোশ পাওয়ার যোগ্য

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাবে ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৫ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫৮

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

বিবাহবিচ্ছেদের পর মুসলিম নারীরাও স্বামীর কাছ থেকে খোরপোশ চাইতে পারেন বলে জানিয়ে দিয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এই ঐতিহাসিক রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। আদালতের রায়কে ইসলামি আইনবিরুদ্ধ ব্যাখ্যা করে তা প্রত্যাহার করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বোর্ডের সভাপতি খালিদ সাইফুল্লাহ রহমানিকে যাবতীয় সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করার দায়িত্ব দিয়েছে বোর্ড।

গত ১০ জুলাই বুধবার একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে ভারতের শীর্ষ আদালত জানায়, বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নারীরই খোরপোশ প্রাপ্য, সে যে ধর্মাবলম্বীই হোন না কেন।

আদালত বলে, প্রত্যেক নারীর ক্ষেত্রেই কার্যকর অনুচ্ছেদ ১২৫। শুধু বিবাহিত নারীরাই নন, প্রত্যেক নারীর ক্ষেত্রেই তা কার্যকর। আদালত জানিয়েছে, খোরপোশ কোনও দান-খয়রাত নয়। প্রত্যেক বিবাহিত নারীর অধিকার।

বিচারপতি নাগরত্ন বলেন, অনেক ক্ষেত্রে স্বামীরা বুঝতে পারেন না যে- স্ত্রী, যিনি গৃহবধূ, মানসিকভাবে এবং অন্যভাবে তাদের ওপর নির্ভরশীল। ভারতীয় সংসারে গৃহবধূর ভূমিকা এবং তার আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি জানানোর সময় এসে গেছে।

আদালত পরিষ্কার জানিয়েছে, ১৯৮৬ সালের মুসলিম নারী (বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অধিকার রক্ষা) ধর্মনিরপেক্ষ আইনের ঊর্ধ্বে নন। এরপরই অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এক বৈঠকে ঠিক করে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে বৃহত্তর বেঞ্চের দ্বারস্থ হবে।

মুসলিম ল বোর্ডের কার্যকর কমিটি ঠিক করেছে, মুসলিম বিবাহবিচ্ছিন্নদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা শরিয়ত বিরোধী। তাই তারা এর বিরুদ্ধে যাওয়ার একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ওই বৈঠকে।

 

সূত্র : ফার্স্টপোস্ট



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: