বাস্তুচ্যুত পরিস্থিতির কারণে গাজায় বাড়ছে হেপাটাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৮:০০

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। গাজার মিডিয়া অফিসের দেয়া তথ্য বলছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন অংশে বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে ৭১ হাজার ৩৩৮ জন হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছে।

প্রায় ১০ মাস ধরে চলা এই সংঘাতে গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি। গাজার প্রায় সর্বত্রই ইসরায়েল হামলা চালিয়ে মসজিদ, ভবন, স্কুল, হাসপাতাল ধ্বংস করে দিয়েছে। গাজায় হামলা অব্যাহত থাকায় প্রতিনিয়ত লোকজনকে এক এলাকা থেকে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হচ্ছে। কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নেই।

এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেখানকার বাস্তুচ্যুত পরিস্থিতির কারণে সংক্রামক রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ১৭ লাখের বেশি মানুষ বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রবেশে বাধা দেওয়ার কারণে গাজায় দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এদিকে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা। এই গোষ্ঠীর সব আর্থিক সম্পদ জব্দ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটির অতি-ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলির জন্য এটি একটি বড় প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ তিনি সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চাচ্ছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেছে আর্জেন্টিনা।

সে সময় হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১২০০ জন নিহত হয়। এছাড়া আরও ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।

জাভিয়ের মাইলির কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আর্জেন্টিনাকে আবারও পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে মাইলি ইসরায়েলি সরকারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের জন্য জেরুজালেমে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ইসরায়েলি দূতাবাস প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যা নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তবে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা জানায় ফিলিস্তিনিরা।

রোমান ক্যাথলিক হিসেবে বড় হলেও মাইলি বলছেন, ইহুদি ধর্মের সঙ্গে তার গভীর আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ইসরায়েলের একজন কট্টর সমর্থক। গত ৭ অক্টোবরের হামলাকে তিনি হলোকাস্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং এই ঘটনাকে একবিংশ শতাব্দীর নাৎসিবাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: