গাজার ৩৮ হাজার লাশ পেছনে ফেলে ফের শুরু হচ্ছে যুদ্ধবিরতি আলোচনা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৫ জুলাই ২০২৪ ০৫:০১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে প্রায় ৯ মাস ধরে। এই সময়ের মধ্যে দখলদার বাহিনীর আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছে ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ, যাদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী। ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যুর পর অবশেষে আবারও শুরু হচ্ছে গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছে ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি। এ সময় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮৭ হাজার ৪৪৫ জন। একই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ হয়েছে ১০ হাজারের বেশি।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় লাশের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও কার্যকর যুদ্ধবিরতি আলোচনা একটিও হয়নি। একাধিকবার আলোচনা শুরু হয়েও থেমে গেছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের আলোকে হামাসের দেওয়া সংশোধনী নিয়ে ইসরায়েল ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করায় আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশার আলো দেখা দিয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের খবর অনুসারে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা টেলিফোনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই টেলিফোন কলের পর নেতানিয়াহু গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনা নতুন করে শুরু করার জন্য প্রতিনিধিদল পাঠাতে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।

অবশ্য এর আগে আলোচকদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকের সময় নেতানিয়াহু ব্যক্ত করেছেন, গাজায় ইসরায়েলের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না। তবে প্রেসিডেন্টের টেলিফোন কলের পর নেতানিয়াহু তাঁর অবস্থান পাল্টেছেন বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

এদিকে, ইসরায়েল আলোচনার জন্য প্রতিনিধিদল পাঠালেও ঠিক কবে নাগাদ ও কোথায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে। এর আগের কয়েক দফার আলোচনাও দোহা ও মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

অন্যদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ঘোষণা দিয়েছে যে, ইসরায়েলের তরফ থেকে সংশোধিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিপরীতে হামাসের সর্বশেষ প্রতিক্রিয়া তাঁরা পেয়েছে এবং আজ শুক্রবার এটি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে হামাস জোর দিয়ে বলেছে, তারা কেবল এমন একটি চুক্তিতে সম্মত হবে, যা গাজায় যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির নিশ্চয়তা দেবে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: