ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে হিজবুল্লাহর শর্ত

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩ জুলাই ২০২৪ ০৬:০৬

হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা শেখ নাইম কাসেম : সংগৃহীত ছবি হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা শেখ নাইম কাসেম : সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য নতুন করে শর্ত দিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা শেখ নাইম কাসেম ২ জুলাই বুধবার বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই শর্ত দেন। নাইম কাসেম বলেছেন, কেবল গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেই ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করবে হিজবুল্লাহ।

ইসরায়েল যদি হিজবুল্লাহর সঙ্গে বড় ধরনের যুদ্ধে জড়াতে না চায়, সে ক্ষেত্রে একমাত্র পথ হলো গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি উল্লেখ করে শেখ নাইম কাসেম বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেই আমরা কোনো আলোচনা ছাড়াই আক্রমণ থামিয়ে দেব।’ তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল যদি আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি ছাড়াই সামরিক অভিযান বন্ধ করে এবং গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে আসে, তবে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত সংঘর্ষ তুলনামূলক কম হবে।

হিজবুল্লাহর এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, ‘গাজায় যদি যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধবিরতি না কিংবা যুদ্ধ ও যুদ্ধ না—এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তবে আমরা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না (আমরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব), কারণ আমরা এর আকার, ফলাফল ও প্রভাব কী হবে তা জানি না।’

নাইম কাসেম আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে ইসরায়েলের বর্তমানে লেবাননে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু করার সক্ষমতা আছে বা তারা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সময় তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এমনকি ইসরায়েল যদি লেবাননে একটি সীমিত সংঘাতও শুরু করতে চায়, বড় ধরনের যুদ্ধ ঠেকিয়ে রাখতে তাহলে যে, যুদ্ধ সীমিত থাকবে সেই আশা তেল আবিবের করা উচিত নয়।

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল সীমিত যুদ্ধ, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বা আংশিক যুদ্ধ যা খুশি বেছে নিতে পারে। কিন্তু দেশটির এটি আশা করা উচিত নয় যে, আমাদের প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরোধ ইসরায়েল নির্ধারিত সীমার এবং নিয়মের মধ্যে আটকে থাকবে।’

উল্লেখ্য, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরুর পরপরই এর প্রতিক্রিয়ায় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির আধুনিক অস্ত্র, অ্যান্টি আর্মার, নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র/রকেটের সাহায্যে হামলা চালানোর ফলে এরই মধ্যে ইসরায়েল বেশ চাপের মুখে পড়েছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, দেশটির উত্তর সীমান্ত এরই মধ্যে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে এবং হিজবুল্লাহর হামলার কারণে সীমান্ত এলাকা থেকে হাজার হাজার ইসরায়েলি এরই মধ্যে নিজ নিজ বাড়িঘর ফেলে চলে গেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: