গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ।ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ১ জুলাই সোমবার গাজা থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় ২০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। গত সাত মাসের মধ্যে এটি গাজা থেকে চালানো সবচেয়ে বড় হামলা।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের রাফা এবং খান ইউনুস ছাড়ার নির্দেশ দিল ইসরায়েলের সেনা।
এতদিন দক্ষিণ গাজাতেই আশ্রয় নিচ্ছিলেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। উত্তর এবং মধ্য গাজা থেকে তারা দক্ষিণ গাজায় এসেছিলেন কারণ, ওই দুই জায়গা ফাঁকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল। দক্ষিণ গাজায় মিশরের সীমান্তের কাছে রাফায় বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই রাফার পথ দিয়েই গাজায় ঢুকছে আন্তর্জাতিক সাহায্য। এবার সেই রাফাই খালি করার নির্দেশ দিল ইসরায়েল। এর অর্থ, লাখ লাখ মানুষকে নতুন করে আশ্রয় শিবির খুঁজতে হবে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, রাফা এবং খান ইউনুসে রকেট আক্রমণ শুরু হয়েছে। আপাতত এই আক্রমণ চলবে। সে কারণেই সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, বেশ কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য গাজার সব চেয়ে বড় হাসপাতালের প্রধান।
এদিকে, রাফা এবং খান ইউনুস খালি করার নির্দেশ ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফানে দুজারিক বলেছেন, ‘আরো একবার প্রমাণিত হলো যে গাজায় কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়। সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
অন্তত ১০ লাখ মানুষ দক্ষিণ গাজায় মিশর সীমান্তে আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছেন। নতুন করে কোথায় গিয়ে তারা আশ্রয় নেবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ইসরায়েলের গাজা অভিযান ঘিরে এখনো পর্যন্ত ৩৭ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে বহু নারী এবং শিশু আছে।
সূত্র : বিবিসি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: