জ্বালানি দিতে অস্বীকৃতি তুরস্কের, গ্রিস থেকে জ্বালানি নিয়ে ফিরল ইসরায়েলি বিমান

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১ জুলাই ২০২৪ ০৪:৫৪

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

 

তুরস্কের আন্তালিয়া বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা একটি বিমানে জ্বালানি দেয়নি বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মীরা। পরে তারা পাশ্ববর্তী দেশ গ্রিসে গিয়ে জ্বালানি সংগ্রহ করে। ইসরায়েলের জাতীয় বিমান সংস্থা ইএল এআই একথা জানায়।

ইএল এআই কর্তৃপক্ষ জানায়, এলওয়াই ৫১০২ ফ্লাইটটি ৩০ জুন, রবিবার সকালে পোল্যান্ডের ওয়ারশ থেকে ইসরায়েলের তেল আবিবের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। তবে বিমানটি আকাশে থাকাবস্থায় একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখানেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত যে কোনো হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেন। পরে এটি তুরস্কের আন্তালিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

তবে সেখান থেকে ইসরায়েলে ফেরার পথে বিমানটি ওই বিমানবন্দর থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করতে চাইলে সেখানকার কর্মীরা তাতে জ্বালানি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে বিমানটি জ্বালানি সংগ্রহ করতে গ্রিসের আরেকটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এদিকে তুরস্কের একটি কূটনীতিক সূত্র জানিয়েছে, জরুরি (মেডিকেল) কারণে ইসরায়েলি বিমানটিকে তাদের বিমানবন্দরে অবতরণ করতে দেওয়া হয়। কিন্তু বিমানবন্দরের কর্মীরা তাতে কোনো ধরনের জ্বালানি সংবরাহ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে মানবিক দিক বিবেচনা করে তারা বিমানটিকে জ্বালানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই বিমানের ক্যাপ্টেন তুরস্ক থেকে বিমানটি নিয়ে গ্রিসের ডায়াগোরাসের রোডস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।

তবে যে অসুস্থ ব্যক্তির কারণে বিমানটি তুরস্কে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছিল, সে ব্যক্তির ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাকে কি তুরস্কের হাসপাতালেই রাখা হয়েছে, না বিমানে করে পুনরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বরতা ও গণহত্যা চালানোয় তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে থাকা কূটনৈতিক সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। এ অবস্থায় তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে সব সরাসরি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ রাখারও ঘোষণা দেয় তুরস্ক।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: