সুইজারল্যান্ডে ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনে থাকছে ৯০ দেশ, যাচ্ছে না রাশিয়া

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১০ জুন ২০২৪ ২৩:১৩

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে আগামী ১৫-১৬ জুন সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে বসছে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন। এই সম্মেলনে এখন পর্যন্ত ৯০ দেশ হাজির হওয়ার সম্মতি দিয়েছে। তবে এখনও হদিশ নেই রাশিয়ার।  ১০ জুন, সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ড। খবর আল জাজিরার।

শান্তি সম্মেলনের আয়োজক দেশ সুইজারল্যান্ড জানিয়েছে, ইউক্রেনে টেকসই শান্তির পথ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে সম্মেলনে যোগদানের জন্য বিশ্বের নব্বইটি দেশ প্রতিনিধি পাঠাতে সম্মতি দিয়েছে। তবে রাশিয়ার কেউ প্রতিনিধিত্ব করবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।

সুইস প্রেসিডেন্ট ভায়োলা আমহার্ড সোমবার বার্নে সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ১৫-১৬ জুন সম্মেলন আয়োজনের উদ্দেশ্য হল প্রায় ২৮ মাস ধরে চলা রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের সমাপ্তির পথে একমত হওয়া।

তবে কিয়েভ সরকারের অনুরোধে সুইজারল্যান্ড সম্মেলনের আয়োজন করলেও রাশিয়া আগেই ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা উপস্থিত থাকবে না। আর সেজন্য রাশিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি।

মস্কো কর্তৃপক্ষ মনে করে, সুইজারল্যান্ড আর নিরপেক্ষ কোনো দেশ নয়। কেননা, দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পক্ষে কাজ করেছে।

তবে সুইস সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সমাবেশের লক্ষ্য ভবিষ্যতের শান্তি প্রক্রিয়ায় রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়কে কীভাবে জড়িত করা যায়, সে সম্পর্কে সম্মিলিতভাবে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা।

সুইস প্রেসিডেন্ট আমহার্ড বলেন, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক দেশ তাদের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান কিংবা ঊর্ধ্বতন কোনো প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে। আর জাতিসংঘের মতো সংস্থার পক্ষ থেকেও প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। যদিও তিনি কিছুটা হতাশ যে, ১৬০টি দেশে আমন্ত্রণ পাঠানোর পরও ১০০ দেশও উপস্থিত থাকার বিষয়ে সম্মতি দেয়নি।

সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শ্যুলজ উপস্থিত থাকবেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেতে পারছেন না। তবে হোয়াইট হাউস তার পরিবর্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানকে পাঠাবে।

সুইজারল্যান্ডের আমন্ত্রণ তালিকায় পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের চেয়ে মস্কোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে এমন দেশগুলোর উপস্থিতিতে জোর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

ভারত, তুরস্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো প্রধান উন্নয়নশীল দেশগুলো তাতে যোগ দেবে কিনা, নিশ্চিত নয়। সুইস কর্তৃপক্ষ বলেছে, আগামী শুক্রবারের মধ্যে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের চূড়ান্ত তালিকা পাওয়া যাবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: