ফিলিস্তিনিদের ১০ লাখ ডলার দেবেন দুই আমেরিকান মডেল

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৬ জুন ২০২৪ ০৯:৫০

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

বিশ্বখ্যাত ফিলিস্তিন-আমেরিকান মডেল গিগি ও বেলা হাদিদ গাজাবাসীর জন্য ১০ লাখ ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার তাদের প্রতিনিধি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।

বেলার একজন প্রতিনিধি নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, তাদের দেওয়া এই অর্থ চারটি মানবিক সংস্থার মাঝে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে।

সংস্থা চারটি হলো- হিল প্যালেস্টাইন, প্যালেস্টাইন চিলড্রেনস রিলিফ ফান্ড, ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন এবং ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি। এই চারটি সংস্থা ফিলিস্তিনি শিশু ও পরিবার নিয়ে কাজ করে।

গিগি ও বেলা হাদিদের বাবা ফিলিস্তিন টাইকুন মোহাম্মদ আনোয়ার হাদিদ গাজায় ইসরায়েলি হামলার মধ্যে ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে সোচ্চার রয়েছেন।

৭ অক্টোবরের পর গিগি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার গভীর সহানুভূতি রয়েছে। তাদের জীবন একটি পরাধীনতার মধ্যে বন্দি। তাদের প্রতি সবার দায়িত্ব রয়েছে এবং যা তিনি প্রতিদিন পালন করেন। যদিও ফিলিস্তিনিদের জন্য তার আশা এবং স্বপ্ন আছে, তবে এর মধ্যে কোনো ইহুদি ব্যক্তির ক্ষতি অন্তর্ভুক্ত নয়।

এরপর গাজায় ইসরায়েলের হামলার সমালোচনা করে তোপের মুখে পড়েছিলেন গিগি। ওই সময় তিনি বলেছিলেন- ইসরায়েল একমাত্র দেশ, যারা শিশুদের যুদ্ধবন্দি করে রাখে। যদিও পরে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন।

শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সম্মান জানাতে গত মে মাসে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বেলা হাদিদ কেফিয়াহ দিয়ে তৈরি একটি লাল এবং সাদা পোশাক পরেছিলেন, যা ফিলিস্তিনি সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত একটি ঐতিহ্যবাহী অ্যারাবিক কাপড়।

এদিকে গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে গত শুক্রবার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই প্রস্তাবে প্রথমে ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং পরে ধীরে ধীরে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে বলা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার প্রস্তাবে বলেছেন- প্রথমে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। এরপর ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে। ধাপে ধাপে গাজায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। একই সময়ে কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল, আর হামাস মুক্তি দেবে ইসরায়েলি জিম্মিদের— যার মধ্যে থাকবে পুরুষ সেনারাও। এরপর গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে।

সবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে সব ধরনের হামলা বন্ধ অর্থাৎ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। বাইডেন এই প্রস্তাব দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, তারা এতে ‘ইতিবাচক’। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: