হিজবুল্লাহর মহাসচিবের ইসরাইল ধ্বংসের হুমকি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৭ মে ২০২৩ ১৯:৫৯

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

দক্ষিণ লেবাননকে ইসরাইলের ২২ বছরের দখল থেকে মুক্ত করার বার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া ভাষণে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ দখলদার ইসরাইলকে নতুন কোনো হামলার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ইসরাইলের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক বড় ধরনের হামলার হুমকির প্রেক্ষাপটে হিজবুল্লাহর মহাসচিব ২৫ মে, বৃহস্পতিবার বলেন, ইসরাইল প্রতিরোধ আন্দোলনের ওপর কোনো হামলা চালালে বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে গোটা অঞ্চলে এবং এতে ইসরাইল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে না গেলেও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অধিকৃত ফিলিস্তিন সংলগ্ন অঞ্চলের প্রতিরোধ শক্তিগুলোর সামরিক ক্ষমতা বহু গুণ বৃদ্ধি পাওয়া ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ার দিকগুলো তুলে ধরে তিনি এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ ইসরাইলকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আমাদেরকে বড় ধরনের যুদ্ধের হুমকি তোমরা দিতে পারো না, বরং আমরাই তোমাদের এমন যুদ্ধের হুমকি দিতে পারি। নতুন যুদ্ধে আমাদের পক্ষে থাকবে লাখ লাখ সেনা। প্রতিরোধ আন্দোলন ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে এবং এর সামরিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতায় বড় ধরনের নানা পরিবর্তন এসেছে।

হিজবুল্লাহর প্রধান এই আন্দোলনের সাম্প্রতিক সামরিক মহড়ার দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, এই মহড়ার প্রেক্ষাপটে ইসরাইল তার হুমকি থেকে পিছু হটেছে এবং ওই মহড়া অবৈধ বসতিতে থাকা ইসরাইলিদের হৃদয়ে ত্রাসের সঞ্চার করেছে, আর এর পাশাপাশি মার্কিন মুদ্রা ডলারের বিপরীতে ইসরাইলি মুদ্রা শেকেলের দরপতন ঘটেছে।

উল্লেখ্য সম্প্রতি হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা যে সামরিক মহড়া চালিয়েছে তাতে কিভাবে ইসরাইলের ভেতরে তথা অধিকৃত ফিলিস্তিনেই ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে তার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আর এ থেকেই ইসরাইলি বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছে যে নতুন যুদ্ধ শুরু হলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা ফিলিস্তিনের গভীর অঞ্চলে উপস্থিত হয়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেবেন।

ইসরাইল হিজবুল্লাহর সঙ্গে ২০০৬ সালে ৩৩ দিনের যুদ্ধেও মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়। এর আগে ২০০০ সালের ২৫ মে ইসরাইলি সেনারা দক্ষিণ লেবানন থেকে হিজবুল্লাহর প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এ ছাড়াও ইসরাইল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গাজা-ভিত্তিক হামাস ও ইসলামী জিহাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি যুদ্ধেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই যুদ্ধ-বিরতি মেনে নেয়ার মত লজ্জাজনক পরাজয়ের শিকার হয়েছে।

হিজবুল্লাহর হাতে রয়েছে বিপুল সংখ্যক উন্নত মানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। অন্যদিকে হামাস ও ইসলামী জিহাদও হিজবুল্লাহ ও সিরিয়ার মাধ্যমে ইরানের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট নির্মাণের প্রযুক্তি লাভ করেছে। 

সূত্র : পার্সটুডে



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: