ইসরায়েলি অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলজুড়ে তীব্র দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবেশী লেবানন থেকে রকেট ও ড্রোন হামলা চালানোর পরপরই এই দাবানল শুরু হয় বলে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্থানীয় সময় ৪ জুন মঙ্গলবার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
৩ জুন, সোমবার রাত থেকে ইসরাইলের উত্তর সীমান্তে রকেট ও ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহ। তবে ঠিক কতটি রকেট বা কতগুলো ড্রোনের সাহায্যে এই হামলা চালানো হয়েছে- এ ব্যাপারে কোনো তথ্য না জানালেও ইসরায়েলের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস জানিয়েছে, ৩০টিরও বেশি অগ্নিনির্বাপক ক্রু আগুন নেভানোর কাজ করছে। এতে করে গ্যালিলি এলাকার বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি এলাকা পুড়ে গেছে।
তবে দমকল বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে মানুষের জীবন বা বাড়ি-ঘর কোনো ধরনের হুমকির মধ্যে নেই। তবে এই হামলায় ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে প্রায় ১০ হাজার ডুনাম বা ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, একটি স্থানীয় নিরাপত্তাদল আগুন নেভাতে লড়াই করছে। কিরিয়াত শমোনা থেকে বেশ কিছু বাড়ি থেকে লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, অগ্নিনির্বাপক দলের সদস্যদের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘন ধোঁয়ার কারণে আইডিএফের ছয় রিজার্ভ সেনা সামান্য আহত হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, যেসব জায়গায় আগুন লেগেছে সেনাবাহিনী তা নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছে। এই মুহূর্তে কোনো মানুষ জীবনঝুঁকিতে নেই। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, আহত ৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, তারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে দাবানলের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। লেবাননের রকেট হামলার পর সোমবার এই আগুনের সূত্রপাত বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে উল্লেখ করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, সোমবার বিকেল থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, তীব্র তাপপ্রবাহ এলাকাটিকে গ্রাস করে ফেলেছ। মঙ্গলবার সকালে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বেশির ভাগ দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আরো বলেছে, তারা এখনো কিছু এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে লড়াই করছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: