গাজার রাফাহ শহরে তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপর ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৪০ জন জ্যান্ত পুড়ে মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে, হামাসের দুই নেতাকে লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২৭ মে, সোমবার জানিয়েছে, রাফাহ শহরের উত্তর-পশ্চিমে নিরাপদ জোন হিসেবে পরিচিত তাল আস-সুলতান এলাকায় উপর্যুপরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে তাঁবুর ভেতরে থাকা অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি ‘জ্যান্ত পুড়ে’ মারা গেছেন।
ফিলিস্তিনি সংবাদ মাধ্যম ওয়াফা জানায়, রবিবার স্থানীয় সময় রাত নয়টার দিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অন্তত আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ওই তাঁবুর আশ্রয়শিবিরে আঘাত হানে। এতে ৪০ জনের মতো প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। ফিলিস্তিনি ফায়ার সার্ভিস ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় ওই আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
রাফাহ শহরের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ব্রিক্স ক্যাম্প খ্যাত ওই অঞ্চলে হাজার হাজার তাঁবু রয়েছে। এসব তাঁবুতে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে উদ্বাস্তু হওয়া ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছেন। এলাকাটিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার গুদাম রয়েছে।
আগের দিন রবিবার ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে অন্তত আটটি রকেট হামলা চালিয়েছে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডস। তারই প্রতিশোধ নিতে রাতেই সেখানেই হামলা চালালো ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, রাফায় হামাসের দুই ঊর্ধ্বতন নেতার অবস্থান লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। তেল আবিবে হামলায় দায়ী হামাসের চিফ অব স্টাফ ইয়াসিন রাবিয়া ও আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা খালেদ নাজার রাফাহ হামলায় নিহত হয়েছেন।
আইডিএফ এক বিবৃতি বলেছে, ইসরায়েল অবগত হয়েছে যে ওই হামলায় রাফাহ শহরে বেশ কয়েকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আশ্রয় শিবিরে আগুন ও নিহতের অভিযোগ ‘যাচাই’ করছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: