ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির দাবিতে উত্তাল ইউরোপ। সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। এবার ইউরোপের দেশ ইতালিতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির দাবি উঠেছে। শনিবার (২৫ মে) আন্তর্জাতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালির সংসদের নিম্নকক্ষের সাবেক প্রেসিডেন্ট লরা বলদিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। শুক্রবার তিনি এ দাবি জানান।
ইতালির সংবাদমাধ্যম ল উনিতার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পার্লামেন্টে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয়েছে। তবে এরপর প্রস্তাবটিকে নিয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি কিসের জন্য অপেক্ষা করছেন? ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো মুহূর্ত আর নেই।
তিনি বলেন, রোমের উচিত সেসব দেশকে অনুস্বরণ করা যারা সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। অগাামী ২৮ মে স্পেন নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে। তাদের অনুসরণ করার কথা জানান তিনি।
এর আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির দাবি জানায় জার্মানির উগ্র বামপন্থি বিরোধী দল দ্য লেফট (ডাই লিঙ্কে)। বৃহস্পতিবার সরকারে কাছে দলের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক মুখপাত্র গ্রেগর গিসি এ দাবি জানান।
পাবলিক ব্রডকাস্টার এমডিআরকে তিনি বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কেননা কেবল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই হামাস ও অন্যান্য উগ্রবাদী দলকে মোকাবিলা করতে পারে। এ সময় তিনি সংসদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপনের কথাও জানান।
গ্রেগর গিসি বলেন, ইসরায়েলের চেয়ে হামাস ও অন্যান্য সংগঠনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারে। ইসরায়েল কেবল সামরিকভাবে এটি করতে পারে। কিন্তু ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ কাঠামো দিয়ে এর মোকাবিলা করতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: