ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কর্তৃক রাশিয়ার চারটি মিডিয়াকে নিষিদ্ধ করার ঘটনাকে ভণ্ডামি বলে মন্তব্য করেছেন রুশ পার্লামেন্টের স্পিকার ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন। তিনি বলেন, পশ্চিমারা যে কিভাবে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও ভিন্ন মতকে প্রত্যাখ্যান করে এবং বাকস্বাধীনতাকে খর্ব করে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে সেটিই প্রকাশ পেয়ে গেছে। খবর রয়টার্স ও আরব নিউজ।
ইইউ ১৭ মে, শুক্রবার ভয়েস অব ইউরোপ, আরআইএ নভস্কি, ইজভেস্তিয়া ও রসিস্কায়া গেজেতা-এই চারটি রুশ মিডিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ইইউ অভিযোগ করে, এই মিডিয়া আউটলেটগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসী যুদ্ধে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে এটি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নির্বাচনকালে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করে।
বেলজিয়াম ইতোমধ্যে ইউরোপব্যাপী নির্বাচনে সন্দেহভাজন রাশিয়ান হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। একই অভিযোগে চেক সরকার বেশ কয়েকজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ দেশের ব্লক ইইউ চারটি মিডিয়া আউটলেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তারা বলছে, এগুলো পুরোপুরি ক্রেমলিন নিয়ন্ত্রিত। তারা বিভিন্ন দেশে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।
এদিকে ইইউর এই পদক্ষেপের জবাব হিসেবে মস্কোতে পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। তবে কোন মিডিয়াগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে সে বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং দেশটির পার্লামেন্ট স্টেট ডুমার স্পিকার ও রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন বলেন, ইইউ নেতৃত্ব সবসময় কেবল বাকস্বাধীনতার ফাঁকা বুলি আওড়ায়। তবে আসলে তারা এটি হজম করতে পারে না।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইইউ রাশিয়া টুডে, স্পুটনিকসহ আরও কয়েকটি মিডিয়া আউটলেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: