ফের কূটনৈতিক সম্পর্কে ফিরছে কানাডা ও সৌদি আরব

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৫ মে ২০২৩ ২২:২৫

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

 

প্রায় পাঁচ বছর পর কানাডা ও সৌদি আরব পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্স্থাপনে এবং নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিতে সম্মত হয়েছে।

২৪ মে, বুধবার দেওয়া বিবৃতিতে উভয় দেশই এ কথা জানিয়েছে। এর মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে শুরু হওয়া বিরোধের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশুগজির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

কানাডা ও সৌদি আরবের দেওয়া বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে ব্যাংককে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) এর শীর্ষ সম্মেলনের চলাকালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে হওয়া আলোচনার ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উভয় দেশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সাধারণ স্বার্থের ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্স্থাপনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সিদ্ধান্তটি এসেছে।”

২০১৮ সালে সৌদি আরব দুইজন নারী অধিকার কর্মীকে আটক করলে তাদের আশু মুক্তির আহ্বান জানিয়ে রিয়াদের কানাডা দূতাবাস আরবি ভাষায় একটি টুইট করেছিল। এই নিয়ে রিয়াদ ও অটোয়ার বিরোধ শুরু হয়। পরে একই বছরের অক্টোবরে সাংবাদিক জামাল খাশুগজিকে হত্যা করা হলে কানাডাসহ পশ্চিমা সবগুলো দেশ এর নিন্দা করে। এ ঘটনার পরই কূটনৈতিকদের প্রত্যাহারসহ নতুন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয় দেশ দুইটি। ওই নিষেধাজ্ঞার ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে।

“বাণিজ্যের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক পদক্ষেপও পত্যাহার করা হবে,” বলেছেন দুই দেশের মধ্যে হওয়া সমঝোতার বিষয়ে জ্ঞাত কানাডার এক সরকারি কর্মকর্তা, তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় রয়টার্স তার পরিচয় প্রকাশ করেনি।

বিরোধের কারণে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কী পরিমাণ ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছিল তা পরিষ্কার নয়। ২০২১ সালে মধ্যপ্রাচ্যে কানাডার সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার ছিল সৌদি আরব। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর দেশটিতে মোট ১৬৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল কানাডা, যার ৮০ শতাংশেরও বেশি ছিল পরিবহন সরঞ্জাম। এর বিপরীতে কানাডা সৌদি আরব থেকে ২৪০ কোটি ডলারের তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানি করেছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কানাডিয়ান সরকারের একটি সূত্র জানায়, শাস্তিমূলক সব পদক্ষেপ তুলে নেওয়া হবে। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাণিজ্যে দেশ দুইটির মধ্যে কী ধরনের প্রভাব পড়েছিল তা এখনো অস্পষ্ট রয়েছে।

 

সূত্র: রয়টার্স



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: