দক্ষিণ কোরিয়ার আদালতের তথ্য চুরি করল উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৩ মে ২০২৪ ০৫:৫৭

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালতের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সাইবার হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণ স্পর্শকাতর তথ্য চুরি করেছে বলে জানা গেছে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চুরি হওয়া এই তথ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত বিভিন্ন নথিপত্রও। খবর এএফপি।

দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশের বরাতে খবর পাওয়া গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হ্যাকাররা মোট এক হাজার ১৪ গিগাবাইট (জিবি) ডেটা চুরি করেছে। চুরি হওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের বিয়ে ও ব্যক্তিগত ঋণের তথ্য। ধারণা করা হচ্ছে, হ্যাকাররা ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে এই তথ্য চুরি করেছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চুরি হওয়া তথ্যের মাত্র চার দশমিক সাত গিগাবাইট উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি তথ্যগুলো চারটি স্থানীয় ও চারটি বিদেশি সার্ভারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে থাকা ম্যালওয়্যার, পাচারকৃত কম্পিউটার সার্ভারের তথ্য, আইপি অ্যাড্রেস ইত্যাদি পরীক্ষা করে এই চুরির সঙ্গে পিয়ংইয়ং জড়িত থাকার কথা জানতে পারে।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিপক্ষদের দাবি, পারমাণবিক শক্তিধর দেশটিতে হাজার হাজার হ্যাকার নিয়ে তৈরি করা বিরাট একটি বাহিনী রয়েছে। তারা দেশটির ভেতরে বা বাইরে অবস্থান করে বিভিন্ন দেশে সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে। অনেকটা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাতেই তারা এসব করে থাকে।

মূলত উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রসহ বিভিন্ন কারণে দেশটির ওপর একাধিক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে অন্য দেশের দেশের উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্যিক লেনদেন প্রায়ই বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে বৈদেশিক মুদ্রা হাতিয়ে নিতে সাইবার হামলার মতো অনৈতিক পথে পা বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা।

দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০২২ সালেই উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায় ১৭০ কোটি ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। অর্থ চুরির পাশাপাশি তারা বিভিন্ন তথ্য চুরি করে নিজেদের অস্ত্র প্রকল্পকে আরও সমৃদ্ধ করে থাকে।

উত্তর কোরিয়া ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি তাদের সাইবার-প্রোগ্রাম শুরু করে। বর্তমানে এটি ব্যুরো ১২১ নামে পরিচিত একটি শক্তিশালী সাইবারওয়ারফেয়ার ইউনিটে পরিণত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বেলারুশ, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে কাজ করে ব্যুরো ১২১’র হ্যাকাররা।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: