ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় মিলল ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান!

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:২৭

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

জনপ্রিয় ভারতীয় মসলা কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্টের কিছু পণ্যে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এমন উপাদান পাওয়া গেছে। হংকং ও সিঙ্গাপুরে এগুলোর বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ অনেক দেশে এসব পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। বিষয়টি সামাল দিতে তড়িঘড়ি করে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। খবর হিন্দুস্তানটাইমস।

জানা গেছে, এমডিএইচ-এর মাদ্রাজ কারি পাউডার, সম্বার মসলা ও কারি পাউডার মসলা এবং এভারেস্ট ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ফিশ কারি মসলাকে নিয়ে প্রাথমিকভাবে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।

গত ৫ এপ্রিল হংকংয়ের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা সেন্টার ফর ফুড সেফটি (সিএফএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই পণ্যগুলোতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে ইথিলিন অক্সাইড পাওয়া গেছে। বিপজ্জনক এই রাসায়নিক, ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এসব পণ্যের কোনো কোনোটি কীটনাশকেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

পরীক্ষায় ক্যান্সারের উপাদান খুঁজে পাওয়ার পর হংকংয়ের সব দোকান-সুপার শপকে এসব পণ্য বিক্রি ও প্রদর্শনী বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি এই নির্দেশনা মেনে খুব দ্রুতই হংকংয়ের বাজার থেকে এই পণ্যগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে ১৮ এপ্রিল সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সিও (এসএফএ) অনুরূপ এক বিবৃতিতে এভারেস্টের ফিশ কারি মসলাটি সিঙ্গাপুরের বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সিঙ্গাপুরে এই কোম্পানির মসলা আমদানিকারক ‘স্পাইস মুথাইয়া অ্যান্ড সন প্রাইভেট লিমিটেড’কে এর আমদানি ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর কারণ উল্লেখ করে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, ওই কারি মসলায় সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি ইথিলিন অক্সাইড পাওয়া গেছে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার এই রাসায়নিকটিকে ‘গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন’ বলে চিহ্নিত করেছে, যা থেকে ক্যানসার হওয়ার শঙ্কা খুবই বেশি।

ভারতের মসলার বাজারে এভারেস্ট ও এমডিএইচ দুটি কোম্পানিই বেশ জনপ্রিয়। ভারতের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপ-আমেরিকাতেও তাদের সুনাম রয়েছে। অন্তত ৯০টি দেশে তাদের পণ্য রপ্তানি হয়। হংকং ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশ এই দুটি কোম্পানির মসলা ব্যাপারে এমন নেতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ায় তা পুরো বিশ্বে তাদের ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তবে এ ব্যাপারে এভারেস্ট বা এমডিএইচ কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

তবে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বিশ্বের অন্তত ৯০টি দেশে এসব পণ্য রপ্তানি হয়। দুই দেশে এগুলো নিয়ে সামান্য সমস্যা দেখা গেছে। শিগগিরই এটার সমাধান করা যাবে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: