ইরানে ইসরায়েলের হামলা পর বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:১৬

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ইরানের ইস্ফাহানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। মধ্যপ্রাচ্যের তেল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে ব্যারেলপ্রতি ৩ ইউএস ডলার। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানে হামলার পর ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ২.৬৩ ডলার বা ৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৯.৭৪ ডলার হয়। একই সঙ্গে ওয়েস্ট টেক্সেস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ২.৫৬ ডলার বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৪.৬৬ ডলারে পৌঁছেছে।

এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ইরানের একটি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পরে ইরানের সরকারি গণমাধ্যম বলেছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস করেছে। ইসরায়েলে ইরানের হামলার কয়েক দিন পরই এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফারস জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলের শহর ইস্পাহানের একটি সেনাঘাঁটির কাছাকাছি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, এটা কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নয়। ইরানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার কারণেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, মধ্যরাতের একটু পরেই ইস্পাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। আর এর ফলে ড্রোনগুলো আকাশেই ধ্বংস করে ফেলা হয়।

গত ১ এপ্রিল ইরানের কনস্যুলেটে ইজরায়েলি হামলার পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নিতে ১৩ এপ্রিল, শনিবার ইসরায়েলে নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বৈশ্বিক বেঞ্চমার্কে প্রতি ব্যারেল ক্রুড তেলের দাম উঠেছিল ৯২.১৮ ডলারে। যা অক্টোবরের পর থেকে সর্বোচ্চ।

ইরান ও ইসরায়েল যদি পাল্টাপাল্টি হামলা চালাতে থাকে তাহলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করবে। ইরান ইসরায়েল সংঘাত হলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হবে।

বিশ্বে প্রতিদিন যে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে তার বেশিরভাগ সরবরাহ হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে। ইরান নিজেও একটি বৃহৎ জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্ববাজারে যে জ্বালানি তেল সরবরাহ হয়ে থাকে তার একটি বিরাট অংশ যায় ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এর পার্শ্ববর্তী জলপথ দিয়ে।

ইরান ইসরায়েল সংঘাত হলে এসব সরবরাহ চ্যানেল বন্ধ করে দেবে ইরান। ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হবে।

ইরান ও ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা চালাতে থাকলে দেশ দুটি মুখোমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনটি ঘটলে সমগ্র অঞ্চলে সেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: