ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের সারাভান সীমান্তে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীদের হামলায় ৬ সীমান্তরক্ষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে এই প্রদেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা এটি। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ফার্স বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ২১ মে রোববার ইরান-পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা সারাভানে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের হামলায় ৬ জন ইরানি সীমান্তরক্ষী নিহত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা সীমানা পেরিয়ে ইরান ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করলে সীমান্তরক্ষীরা বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সন্ত্রাসীদেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সংঘর্ষের পর সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা।
ইরানের দারিদ্র্যপীড়িত প্রদেশগুলোর মধ্যে একটি সিস্তান-বেলুচিস্তান। যার সঙ্গে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। মাদক চোরাচালান ও সংখ্যালঘু, চরমপন্থী গোষ্ঠী, বিদ্রোহী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কয়েক দিন পরপর সংঘর্ষের ঘটনায় অঞ্চলটি প্রায় সারা বছরই অশান্ত থাকে।
ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আশা করি পাকিস্তান সরকার সন্ত্রাসীদের দমনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে যেসব সমঝোতা হয়েছে সেগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের আশাও করেন এই মুখপাত্র।
সীমান্তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির অংশগ্রহণে একটি বাজার উদ্বোধন করার পর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশের নিরাপত্তা ও স্বার্থকে নিশানা করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
এর আগে গত ১১ মার্চ একই এলাকায় অপরাধীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় দুই পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
সূত্র : ফার্স ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: