গাজার রাফাহতে হামলার তারিখ নির্ধারণ করেছে ইসরায়েল

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:০৮

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেও রাফাহ হামলার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বরং তিনি জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহতে হামলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। খবর রয়টার্স ও আল জাজিরা।

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বর্বর হামলা থেকে রক্ষা পেতে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছে। এ অবস্থায় যদি রাফাহতে হামলা চালানো হয়, তাহলে সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের মিত্ররাও। কিন্তু সব কিছু উপেক্ষা করে গত প্রায় এক মাস ধরে রাফাহতে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন নেতানিয়াহু।

তিনি ৮ এপ্রিল, সোমবার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ক্রমাগতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, আমাদের সব জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বিজয় অর্জন করা। এর জন্য রাফাহ অভিযানটা প্রয়োজনীয়। সেখানে ঢুকে সেখানকার সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে নির্মূল করতে হবে। এটা ঘটবেই এবং এর জন্য একটি তারিখ নির্ধারিত আছে। তবে সেই নির্ধারিত তারিখটি কবে তা প্রকাশ করেননি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

সম্প্রতি ইসরায়েল গাজার বেশ কিছু জায়গা থেকে তাদের বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে। এগুলোকে রাফাহ হামলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবেই ধরা হচ্ছে। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা জানান, রাফাহর সাধারণ মানুষের জন্য ৪০ হাজার তাঁবু কেনা হয়েছে। রাফাহ হামলার সময় সেগুলোতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে রাফাহতে হামলার ইস্যুতে চরম বিরোধিতা করছে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন জানায়, রাফাহতে পূর্ণমাত্রার কোনো সামরিক আগ্রাসন চালানো হলে সেখানে আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পাশাপাশি ইসরায়েলের নিরাপত্তাও চরম সংকটে পড়বে।

এর মধ্যে নেতানিয়াহুর রাফাহ হামলার তারিখ ঘোষণা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তাদেরকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, এ ব্যাপারে তাদের কোনো কিছু জানায়নি ইসরায়েল।

ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: