যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে ইসরায়েল–লেবানন সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

একদিকে গাজায় হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, আরেক দিকে ক্রমেই বাড়ছে ইসরায়েল–লেবানন উত্তেজনা। ৭ এপ্রিল রোববার ভোরে লেবাননের পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করার পর হিজবুল্লাহ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে দেশটি।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলে, লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বালবেক শহরে হিজবুল্লাহর একটি সামরিক কমপ্লেক্স ও তিনটি অবকাঠামো স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। লেবাননের আকাশসীমায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ একটি চালকবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করার প্রতিক্রিয়ায় সর্বশেষ এই হামলা চালানো হয়েছে। ড্রোনটিকে ইসরায়েলের তৈরি হার্মিস ৯০০ ড্রোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে গোষ্ঠীটি।

গত ৮ অক্টোবর থেকেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে গোলাগুলি চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামলা চালানোর প্রতিক্রিয়ায় গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই আঞ্চলিক বিরোধ বাড়তে থাকে।

ইসরায়েলের গোলাবর্ষণে প্রায় ২৭০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা এবং ৫০ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়াও ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত এলাকা থেকে ৯৬ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে গোলাগুলি নিয়ে কূটনৈতিক সমাধান করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত গোলাগুলি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হিজবুল্লাহ।

দুটি নিরাপত্তা সূত্র বলছে, লেবাননে সর্বশেষ সিরিয়া সীমান্তের কাছে জান্তা গ্রাম ও বালবেকের কাছে সাফরি শহরে হিজবুল্লাহর একটি প্রশিক্ষণ শিবির লক্ষ্য করে হামলা করেছে ইসরায়েল। এই হামলাগুলোতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: