ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত শহর পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এতে করে বাখমুতে টানা কয়েক মাসের দীর্ঘ এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রোববার (২১ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া মন্তব্যে পুতিন দাবি করেছেন যে, রাশিয়ান বিমান বাহিনীর সাহায্যে ভাগনার সৈন্যরা কয়েক মাস তীব্র লড়াইয়ের পর শনিবার ‘বাখমুতকে মুক্ত করার অপারেশন’ সম্পন্ন করেছে।
পুতিন ইউক্রেনের এই শহরটি দখল করার জন্য সেনাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এই লড়াইয়ে অংশ নিয়ে যারা অন্যদের চেয়ে নিজেদের আলাদা করেছে, তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। খবর রয়টার্সের।
তবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেছেন, বাখমুতে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে। পরিস্থিতি খুবই ‘সংকটজনক’।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বরা হয়েছে, সোভিয়েত আমলে বাখমুতের নাম ছিল আর্টিওমভস্ক। বাখমুতের দখল গত ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতে মস্কোর প্রথম বড় বিজয় হিসেবে মনে করা হচ্ছে। মূলত মাসের পর মাস ধরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহর দখলে নিতে লড়াই চালিয়ে গেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। তাই এই শহরের দখল রাশিয়ার জন্য বিরল সাফল্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বাখমুতের দখল নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক লাইনের বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ওয়াগনার অ্যাসল্ট ইউনিটের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের ফলে এবং আর্টিলারি ও সাউদার্ন গ্রুপ অব ফোর্সের বিমান হামলার মাধ্যমে আর্টিওমভস্ককে মুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন আগের দিন বলেছিলেন, তার সেনারা শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনীয়দের শহরের অভ্যন্তরে সর্বশেষ এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।বাখমুত দখল নিয়ে ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন যে মন্তব্য করেছিলেন সেটি শনিবার দিনের শুরুর দিকে অস্বীকার করেছিল ইউক্রেন।
তবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহর দখলে নেওয়া নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের পর ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
সূত্র : রয়টার্স / বিবিসি ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: