রাজনৈতিক বিরোধে জার্মানিতে ২০ হাজার হাতি পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন পূর্ব আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট। এই বছরের শুরুতে, জার্মানির পরিবেশ মন্ত্রণালয় বলেছিলেন, ট্রফি আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপের কথা ভাবছে দেশটি। এই ঘোষণার পরেই এমন হুমকি দিয়েছেন তিনি।
বিনোদনের নামে বন্যপ্রাণি শিকারের প্রথাকে ট্রফি হান্টিং বলে। ট্রফি শিকারিরা সাধারণত বন্যপ্রাণির শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন মাথা, চামড়া, শিং ও দাঁত ইত্যাদি সংগ্রহ করে পরে নিজেদের বীরত্ব ও সফলতার প্রতীক হিসেবে প্রদর্শন করেন। শিকারের জন্য আফ্রিকার বিগ ফাইভ নামে পরিচিত সিংহ, মহিষ, হাতি, চিতাবাঘ ও গন্ডার বেশি জনপ্রিয়।
বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট মোকগওয়েটসি মাসিসি জার্মান সংবাদপত্র বিল্ডকে বলেছেন, কড়াকড়ি আরোপের ফলে দেশের মানুষ শুধু গরীব হতে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘সংরক্ষণের প্রচেষ্টার ফলে হাতির সংখ্যা বেড়ে যায়। কিন্তু শিকার করা হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জার্মানদের উচিত প্রাণীদের সঙ্গে বসবাস করা, যা তারা আমাদের বলার চেষ্টা করছে।’
দেশটিতে বিশ্বের মোট এক-তৃতীয়াংশ হাতি বসবাস করে। যা এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি। এরা সম্পত্তির ক্ষতিসহ ফসল এবং বাসিন্দাদের পদদলিতও করছে বলে তিনি বলেন।
বতসোয়ানা পূর্বে প্রতিবেশী অ্যাঙ্গোলাকে ৮ হাজার হাতি পাঠিয়েছে এবং জনসংখ্যা কমিয়ে আনার উপায় হিসেবে মোজাম্বিককে আরো কয়েকশ হাতি দিয়েছে।
বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট মোকগওয়েটসি মাসিসি বলেন, আমরা জার্মানিকেও এমন উপহার দিতে চাই। আমি রসিকতা করছি না। এ ক্ষেত্রে আমি না শুনব না।’
বতসোয়ানা ২০১৪ সালে ট্রফি হান্টিং নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাপের মুখে ২০১৯ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। দেশটি জানায় এই শিকার প্রথা স্থানীয় সম্প্রদায়ের আয়ের একটি ভাল উৎস এবং এটা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
সূত্র: বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: