ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশকে আক্রমণের পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা যদি ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করলে তা দেখা মাত্রই গুড়িয়ে দেয়া হবে। বুধবার (২৭ মার্চ) রুশ বিমানবাহিনীর পাইলটদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো রাশিয়ার পূর্ব দিকে তাদের অবস্থান প্রসারিত করেছে। কিন্তু এই জোটের কোনো দেশকে আক্রমণের পরিকল্পনা নেই আমাদের। তবে ইউক্রেন যদি তৃতীয় কোনো দেশের বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করে, তাহলে সেগুলো আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে, সেটা যেখানেই অবস্থিত হোক না কেন।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ক্রেমলিন ট্রান্সক্রিপ্টে পুতিন বলেন, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র কিংবা বাল্টিক দেশগুলোকে আমরা আক্রমণ করবো বলে প্রচার করা হচ্ছে। এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ইউক্রেনে পাঠানো পশ্চিমাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সম্পর্কে জানতে চাইলে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, এ ধরনের বিমান ইউক্রেনকে যুদ্ধের পরিস্থিতি পরিবর্তনে কোনোভাবেই সাহায্য করবে না। পাইলটদের এই যুদ্ধবিমান পরিচালনার প্রশিক্ষণ দিলেও লাভ হবে না। এফ-১৬ পারমাণবিক অস্ত্রও বহন করতে পারে, তাই আমরা এগুলোকে দেখলেই ধ্বংস করবো।
পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেইনকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত এফ-১৬ জঙ্গি বিমান সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরই মধ্যে বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডস কিয়েভকে এই যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দেশগুলোর একটি জোট এফ-১৬ ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
ইউক্রেন দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে পশ্চিমাদের সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ ইউক্রেন। আর অনেক দিন ধরেই পশ্চিমা মিত্রদের কাছে এফ-১৬ বিমান চেয়ে আসছেন জেলেনস্কি।
এদিকে, রাশিয়ার জব্দ অর্থের মুনাফা দিয়ে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। গোলাবারুদের প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে ২১ মার্চ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে রাশিয়ার সম্পদ থেকে ইউক্রেনের জন্য বছরে প্রায় ৩৩০ কোটি ডলারের ব্যবস্থা হতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: