সুদানে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হতে পারে: জাতিসংঘ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৬ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৮

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আফ্রিকার দেশ সুদান। দেশটিতে আসন্ন কয়েক মাসে ক্ষুধা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রমের প্রধান মার্টিন গ্রিথিফস। শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিরাপত্তা পরিষদকে দেওয়া এক সতর্কবার্তায় তিনি এ কথা জানান।

ত্রাণ কার্যক্রমের প্রধান মার্টিন গ্রিথিফস বলেন, সুদানের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অনাহারে ভুগতে পারে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যুদ্ধের ফলে কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব, প্রধান অবকাঠামো ও জীবিকার ক্ষতি, বাণিজ্য প্রবাহে বিঘ্ন, মারাত্মক মূল্যবৃদ্ধি, মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা ও বড় আকারের বাস্তুচ্যুতি অঞ্চলটিকে তীব্র ক্ষুধার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, জরুরি মানবিক সাহায্য ও মৌলিক প্রয়োজনীয় পণ্যের সহজলভ্যতা ছাড়া... আগামী মাসগুলোতে দেশের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বিপর্যয়কর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে পারে।

জাতিসংঘের ত্রাণপ্রধানের বরাতে জানা যায়, শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় পশ্চিম ও মধ্য দাফুরের কিছু মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হবে। এছাড়া সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কথাও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, সুদানের প্রায় সাত লাখ ৩০ হাজার শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে দাফুরের ২ লাখ ৪০ হাজার শিশু রয়েছে।

মার্টিন গ্রিথিফস বলেন, এ মুহূর্তে যেসব অঞ্চলে প্রবেশ করা যাচ্ছে না সেসব অঞ্চলে এরই মধ্যে অপুষ্টির ভয়াবহ প্রভাব পড়া ‍শুরু হয়েছে।

সুদানের সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে যুদ্ধে জড়িয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, দেশটির প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জরুরি ত্রাণের প্রয়োজন। যা সুদানের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। এছাড়া সেখাকার প্রায় ৮০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্যমতে, দেশটির দুটি পক্ষই যুদ্ধাপরাধ করছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২০১৮ সালের প্রস্তাব অনুসারে, সশস্ত্র সংঘাতের কারণে কোনো অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ ও ব্যাপক খাদ্য নিরাপত্তার আশঙ্কা দেখা দিলে জাতিসংঘের মহাসচিবকে ১৫ সদস্যের সংস্থাটির কাছে রিপোর্ট দিতে হয়।

জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রমের প্রধান জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সুদানে ত্রাণ প্রবেশের সময় এক হাজারের বেশি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এসব ঘটনা মানবিক মানক্রমকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করেছে।

তিনি বলেন, এসব ঘটনার ৭১ শতাংশই দেশটিতে চলমান সংঘাতের কারণে বা মানবিক সরবরাহ বা ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত সহিংসতার কারণে ঘটেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: