ভয়াবহ বন্যার কবলে ইতালির উত্তরাঞ্চল

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৯ মে ২০২৩ ১৭:৫১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ভারী বর্ষণের ফলে ভয়াবহ বন্যার কবলে ইতালির উত্তরাঞ্চল। সেভিও নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর-পূর্বের এমিলিয়া রোমাগনা ও মারচে অঞ্চল। খবর রয়টার্সের।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ১৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ২০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের তৎপরতায় ইতোমধ্যে উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। এ ছাড়া ঘরছাড়া ১৩ হাজারের বেশি মানুষ।

ইতালির কেন্দ্রীয় সরকারের বেসামরিক সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী নেল্লো মুসুমেকি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, গত ৩৬ ঘণ্টায় তার এমিলিয়া রোমাগনায় যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা সেখানে বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণের অর্ধেকেরও বেশি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বর্ষণে হু হু করে বাড়ছে নদীর পানির উচ্চতা। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির রাভেনা শহর।

শহরটির মেয়র মিশেল ডি পাসকেল জানান, বর্তমান পরিস্থিতি গত শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ।

এমিলিয়া-রোমাগনা প্রাদেশিক সরকারের প্রেসিডেন্ট স্টেফানো বোনাক্কিনি বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই প্রদেশে এর আগে আমরা এত বৃষ্টিপাত দেখিনি। এটা একটি অভূতপূর্ব দুর্যোগ…এত বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে যে পানি নির্গমন ব্যবস্থাগুলোও কাজ করছে না।

প্রাদেশিক সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৬ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। কিছু এলাকায় ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টিতে এমিলিয়া-রোমাগনাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৮০টির বেশি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।এমিলিয়া-রোমাগনা প্রদেশে প্লাবিত অনেক গ্রাম। একটি সেতু ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং সড়ক ও রেলপথগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া প্রদেশের অধিকাংশ শহর ও গ্রাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ইতালির এমন পরিস্থিতির পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয়ভাবে পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল বলে ইতালি সরকারকে আগেই সতর্ক করেছিলেন অনেকে।

প্রদেশের শহর-গ্রাম মিলিয়ে অন্তত ৩৭টি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভয়াবহ দুর্যোগে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আড্রিয়াটিক সাগরের তীরবর্তী রেভেন্না শহর। রেভেন্না নগর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী শহরের অধিকাংশ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হলেও এখন পর্যন্ত ঝুঁকিতে আছেন ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে তাদেরকে এখনও সরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

 

সূত্র : রয়টার্স / বিবিসি ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: