মস্কোতে ফিলিস্তিনি ঐক্যের চেষ্টা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২ মার্চ ২০২৪ ১৯:৪৬

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

এবার ইসরায়েলের নতুন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য রাজনৈতিক গোষ্ঠী দুটির মধ্যকার চরম বৈরিতা কমাতে মধ্যস্থতা করছে রাশিয়া। গত বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের নেতারা মস্কোয় বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো কোনো তথ্য জানতে পারেনি।

আসলে চলমান এই সংঘাতে গাজার মানবিক বিষয়টি চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনের জন্য একটি কৌশলগত সরকার গঠনের ধারণা দিয়েছে। হামাস ও ফাতাহ মিলে গঠন করবে সেই সরকার। কিন্তু ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ফাতাহ হেরে যাওয়ার পর এবং হামাস যোদ্ধারা গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে করে যৌথ সরকারের বিষয়টি বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। কারণ ২০০৭ সালে গোষ্ঠী দুটির মধ্যকার সংঘাতের ফলে ফিলিস্তিনের যৌথ সরকারের বিলুপ্তি ঘটে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে শাসনভার ভাগ হয়ে যায়।

আলজাজিরার রাশিয়া প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোলোভা বলেছেন, তিন দিন ধরে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি কৌশল নিতে পারে। এর আগেও একই ধরনের বৈঠক আয়োজন করেছিল রাশিয়া। এটি এমন চতুর্থ বৈঠক। অবশ্যই তারা চাইবে সব ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর পুনর্মিলনে সহযোগিতা করার।

বৈঠকের আগে গত বুধবার ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালকি বলেছেন, বৈঠক থেকে কোনো অলৌকিক কিছু প্রত্যাশা করছেন না তিনি। তার কথায়, ‘আমরা আশা করছি হয়তো বৈঠক থেকে সব গোষ্ঠীর সম্ভাব্য একটি টেকনোক্র্যাট সরকারের প্রতি সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করার মতো ফল আসতে পারে।’

মালকি বলেছেন, ‘অবশ্যই আমরা মস্কোর একটি বৈঠকেই অলৌকিক কিছুর প্রত্যাশা করছি না। কিন্তু আমি মনে করি, মস্কোর বৈঠকের পর মধ্যপ্রাচ্যেও আরও বৈঠক শিগগিরই হতে পারে।’

ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।

তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেছিলেন, গাজায় চলমান বাস্তবতাকে আমলে নিতে হবে নতুন প্রশাসনকে।

অবশ্য তার পদত্যাগ নতুন একটি ইঙ্গিত হাজির করেছে। আর তা হলো, পশ্চিম তীরে ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ জোরদার করতে আন্তর্জাতিক ক্রমবর্ধমান চাপে রয়েছেন তিনি।

৩০ বছর আগে ওসলো চুক্তির আওতায় পশ্চিম তীরভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্র্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছিল। তবে এর কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ; বিশেষ করে নেতাদের হাতে ক্ষমতা খুব সামান্য। ফিলিস্তিনিদের মধ্যেও তাদের জনপ্রিয়তা কমে গেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: