পূর্ব আফগানিস্তানে প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাতের ফলে ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন মারা গেছেন।
আফগানিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ ১৯ ফেব্রুয়ারি, সোমবার বলেছে, ‘রাতে প্রচুর জায়গায় ধস নামে। তার ফলে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। তাছাড়া প্রচুর মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে আছেন।’
আফগানিস্তানের প্রায় সর্বত্রই বরফ পড়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ধসের খবর আসছে। কিন্তু তাতিন উপত্যকার নাকরে গ্রামে প্রবল ধস নামে। ২০টি বাড়ি ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপ ও বরফের মধ্য়ে মানুষ চাপা পড়েন।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক আঞ্চলিক প্রধান জামিউল্লাহ হাশিমি বলেন, ‘উদ্ধারকাজ চলছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।’
আফগানিস্তানে এমনিতেই শীতকাল সবসময়ই কঠিন। এবার বরফ পড়তে অনেক দেরি হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা মৌলবী মোহাম্মদ নবি আদেল বলেন, ‘খারাপ আবহাওয়ার ফলে উদ্ধারকাজে দেরি হচ্ছে। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘলা। রাস্তা বরফ পড়ে আটকে গেছে।’
আফগানিস্তান বিশ্বের গরিব দেশগুলোর মধ্যে একটা। কয়েক দশক ধরে এখানে যুদ্ধবিগ্রহ চলেছে। আফগানিস্তান জুড়েই একের পর এক প্রকৃতিক বিপর্যয় হতে থাকে। জয়বায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা আরো বেড়েছে। সম্প্রতি ভয়ঙ্কর বন্যা ও ভূমিকম্পের কবলে পড়েছে আফগানিস্তান।
এবার বৃষ্টি খুব কম হয়েছে। ফলে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। আফগানিস্তান পুরোপুরি কৃষির উপরে নির্ভরশীল। একসময় গোটা বিশ্ব থেকে আফগানিস্তানে ঢালাও সাহায্য আসতো। কিন্তু ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা ও তার বন্ধু দেশগুলো সেনা প্রত্যাহার করে। তালেবান ক্ষমতায় আসে। তারা নারীদের উপর প্রচুর বিধি-নিষেধ চাপিয়ে দেয়। তারপরই আফগানিস্তানে বিদেশী সাহায্য আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: