ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর এখন সেখানের আগাতি এবং মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জে একটি নৌ ঘাঁটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। আইএনএস জটায়ু নৌ ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে মিনিকয়ে। ৪ বা ৫ মার্চ যার উদ্বোধন করতে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মিনিকয়ে আইএনএস জটায়ু নৌ ঘাঁটি থেকে মালদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ৫২৪ কিলোমিটার।
শুধু তাই নয়, আগাতি দ্বীপে এয়ারস্ট্রিপ আপগ্রেড করতে চলেছে ভারত। যাতে এটি ফাইটার জেট ও ভারী বিমান চালনায় ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও, মালদ্বীপ ও চীনের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে।
মিনিকয়ে আইএনএস জটায়ু নৌ ঘাঁটি থেকে মালদ্বীপের দূরত্ব ৫২৪ কিলোমিটার। শুধু তাই নয়, আগাতি দ্বীপে এয়ারস্ট্রিপ আপগ্রেড করতে চলেছে ভারত, এটি ফাইটার জেট ও ভারী বিমান চালনায় ব্যবহার করা যায়। যাতে ভারতীয় বাহিনী ভারত ও আরব সাগরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এর বাইরে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং মালদ্বীপ ও চীনের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হতে পারে।
এই নৌ ঘাঁটি উদ্বোধনের সময় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্তেও চড়তে পারেন। আসলে লাক্ষাদ্বীপ ও মিনিকয় দ্বীপে নয় ডিগ্রি চ্যানেলে রয়েছে। যেখান থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এটি উত্তর এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক পথ।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং যখন আইএনএস বিক্রমাদিত্য বা বিক্রান্তে মিনিকয় দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হবেন, তখন তার সঙ্গে আরও ১৫টি যুদ্ধজাহাজ থাকবে। মানে পুরো আক্রমণকারী নৌ বহর একসঙ্গে থাকবে। এর মাধ্যমে ভারতের নৌ শক্তি সম্পর্কে ধারণা পাবে গোটা বিশ্ব। মালদ্বীপ ও চীনের মতো দেশগুলোতে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানো হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: