রাফাহে ইসরায়েলি হামলা ঘটাতে পারে ‘হত্যাযজ্ঞ’ : সতর্কতা জাতিসংঘের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০৯

ইসরায়েলের স্থল অভিযানের আশঙ্কায় রাফা ছাড়ছেন ফিলিস্তিনিরা : সংগৃহীত ছবি ইসরায়েলের স্থল অভিযানের আশঙ্কায় রাফা ছাড়ছেন ফিলিস্তিনিরা : সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহে ইসরায়েলি হামলা ‘হত্যাযজ্ঞ’ ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিথস। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনিরা ইতিমধ্যেই এমন একটি হামলার শিকার হচ্ছে যার তীব্রতা, বর্বরতা এবং পরিধির সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা চলে না।

রাফাহ আক্রমণের পরিণতি বিপর্যয়কর হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

রাফাহে ইসরায়েলি হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন গ্রিফিথস। তিনি বলেন, ‘দশ লাখেরও বেশি মানুষ রাফাহে আটকে আছে। তারা মৃত্যুর দিকে তাকিয়ে আছে। রাফাহে বেসামরিক মানুষেরা খাবার এবং ওষুধের অভাবের মধ্যে রয়েছে। কোনো স্থানই তাদের জন্য নিরাপদ নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যেই মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকা রাফাহ শহরে মানবিক সহায়তা দেওয়ার অভিযানকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেবে ইসরায়েলি আগ্রাসন।’

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফানি ডুগারি বলেছেন, জাতিসংঘ ইসরায়েলের কাছ থেকে রাফাহ থেকে বেসামরিকদের উচ্ছেদের কোনো পরিকল্পনা পায়নি এবং কোনো জোরপূর্বক উচ্ছেদেও তারা (জাতিসংঘ) অংশ নেবে না।

গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা ইসরায়েলি আক্রমণের মুখে আশ্রয় নিয়েছিলেন দক্ষিণের শহর রাফাহে। যুদ্ধ শুরুর আগে শহরটি ছিল প্রায় আড়াই লাখ মানুষের বসবাস। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে উপত্যকাটির অর্ধেকের বেশি মানুষ অর্থাৎ, প্রায় ১৫ লাখ মানুষ রাফাহে আশ্রয় নিয়েছে।

রাফাহে আশ্রয় নেওয়া মানুষেরা তাঁবুতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের যাওয়ার মতো নেই কোনো নিরাপদ জায়গা। সম্প্রতি শহরটিতে তীব্র মাত্রার বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত সোমবার পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন।

মার্টিন গ্রিফিথস আরও বলেন, রাফাহে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় সেখানে কাজ করা মানবিক সহায়তা দেওয়া কর্মীদের গুলি করা হচ্ছে। তাদের বন্দুকের মুখে রেখে হত্যা করা হচ্ছে।

কায়রোতে যখন ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছিল তখনই আসে গ্রিফিথসের বিবৃতি। অবশ্য ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের এই বৈঠকে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। বৈঠকের সময় বাড়ানো হয়েছে আরও তিন দিন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: