সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ন্যাটো প্রধান জেনস স্টোলেনবার্গ। ১১ ফেব্রুয়ারি, রবিবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের মন্তব্যকে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ১২ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে পশ্চিমা সামরিক জোটের প্রধান আরও বলেন, ট্রাম্পের মন্তব্য এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান সেনাবাহিনীকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। এছাড়া ট্রাম্পের মন্তব্যকে ভয়ংকর ও বিপজ্জনক উল্লেখ করে, তার সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনও।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলও ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘বেপরোয়া’ বলে নিন্দা করেছেন।
তিনি এক্সে বলেন, ‘ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক অ্যালায়েন্স ৭৫ বছর ধরে আমেরিকা, কানাডীয় এবং ইউরোপীয়দের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির ভিত্তি ধরে রেখেছে। ট্রাম্প যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও যুদ্ধ ও সহিংসতায় উৎসাহ দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
১০ ফেব্রুয়ারি, শনিবার দক্ষিণ ক্যারোলিনায় এক সমাবেশে জনতার উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, জোটের অংশ হিসেবে ন্যাটোভুক্ত যে-সব দেশ প্রতিরক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে ব্যর্থ হবে, সেসব দেশে রাশিয়াকে হামলা চালাতে উৎসাহ দেবেন তিনি।
তার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোতে তার ভাগের চেয়ে বেশি অর্থ দিচ্ছে। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিজের ঘাড়ে অতিরিক্ত অর্থ খরচের বোঝা নিচ্ছে। নেটোভুক্ত দেশগুলোকে নিয়মানুযায়ী, তাদের জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে হয়।
২০২৩ সালের ব্যয়ের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ন্যাটো। দেখা গেছে, এর সদস্য ৩০ টি দেশের ১৯টিই তাদের জিডিপির ২ শতাংশের চেয়ে কম অর্থ জমা দিয়েছে যৌথ প্রতিরক্ষা খাতে-যার মধ্যে জার্মানি, নরওয়ে ও ফ্রান্সও রয়েছে।
তবে ইউক্রেন বা রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলো নির্দিষ্ট অর্থের বেশি ব্যয় করেছে। পোল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি ব্যয় করেছে, প্রায় ৩.৯ শতাংশ।
বিবৃতিতে স্টোলেনবার্গ বলেন, ন্যাটো তার জোটভুক্ত দেশগুলোকে রক্ষায় প্রস্তুত ও সক্ষম।
সূত্র : বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: