ড্রোন হামলায় সৈন্য নিহতের ঘটনায় আমেরিকার বদলা জিম্মি মুক্তির আলোচনায় বিঘ্ন ঘটাবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি। ২৯ জানুয়ারি, সোমবার ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে দর্শকদের উদ্দেশে তিনি এই আশার কথা বলেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী কাছে জানতে চাওয়া হয়, জর্ডানে আমেরিকান সামরিক ঘাঁটিতে ইরান-সমর্থিত জঙ্গিদের ড্রোন হামলার বদলা যদি যুক্তরাষ্ট্র নেয়, তাহলে কি ইসরায়েল-হামাসের মধ্যকার সম্ভাব্য জিম্মি মুক্তির চুক্তি ভেস্তে যেতে পারে?
জবাবে শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি বলেন, “আমি আশা করি, কোনও কিছুই আমাদের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমেরিকার বদলা অবশ্যই প্রভাব ফেলবে। কোনও না কোনওভাবে তা অবশ্যই আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলবে। তবে আশা করছি, বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে থাকবে।”
রবিবার সিরিয়ার সীমান্তবর্তী জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি আমেরিকান সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিন আমেরিকান সেনা নিহত হয়। আহত হয় আরও ৩৪ জন।
গত অক্টোবরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যে হামলায় আমেরিকান সেনা নিহতের ঘটনা ঘটল। এর জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। হামলা দায় স্বীকার করেছে ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘ইসলামিক রেসিস্ট্যান্স’।
হামলার বদলা নিতে বাইডেনের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে। যথাসময়ে হামলার জবাব দেওয়া হবে জানিয়েছেন বাইডেন। তবে কোথায় ও কীভাবে জবাব দেওয়া হবে, সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
সূত্র: রয়টার্স
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: