হুতিদের রুখতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের প্রধান তেল রপ্তানি বন্দরে হামলা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ ১৯:১৮

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হাত মিলিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। হুতিদের লাগাতার হামলায় লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই জের ধরে এবার ইয়েমেনের প্রধান তেল রপ্তানি বন্দর ইসসাতে শনিবার হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য। এ বন্দরটি ইয়েমেনের প্রধান তেল রপ্তানি টার্মিনাল হিসেবে পরিচিত।

প্রদিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দরটিতে দুটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।

এর আগে এডেন উপসাগরে বৃটিশ ট্যাংকারে হামলা চালায় হুতিরা। শনিবার দুপুরে আলজাজিরার লাইভ আপডেটে জানানো হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে হামলা চালানো হলেও ট্যাংকারটিতে এখনও আগুন জ্বলছে।

ট্যাংকারটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও নৌ-জাহাজ এটিতে সাহায্য করছে।

দেশটির সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, ট্যাংকারে হামলার আট ঘণ্টা পর মার্কিনিরা হুতিদের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। এটি লোহিত সাগরে নিশানা করে হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল।

তাদের এমন দাবির পর হুতিদের পরিচালিত টেলিভিশন ইয়েমেনের বন্দরে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে হুতিরা। দলটির দাবি, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা এ হামলা অব্যাহত রাখবে।

উল্লেখ্য, ১২ জানুয়ারি ইয়েমেনে প্রথম হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রীয় জোট। ওই দিন আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে ইয়েমেনে হামলা চালানো শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) বার্তা সংস্থাকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে লজিস্টিক্যাল হাব, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং অস্ত্র সংরক্ষণাগারগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে চলাচলের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করায় ‘আমার নির্দেশে’ হামলা চালানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডের সমর্থনে হামলা চালানো হয়েছে।

ওই সময়ে একজন হুথি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‌জোটের অভিযান সারা দেশে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ সাদা এবং ধামার শহর। হোদেইদাহ প্রশাসক এই হামলাকে আমেরিকান, জায়নবাদী ও ব্রিটিশ আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: