অর্থনীতি বাঁচাতে চাষবাসে নামছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ ০১:১০

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

অনেক দিন ধরেই ধুঁকছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। এবার দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে চাষবাসে নামছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। ইতোমধ্যে তারা কর্পোরেট ফার্মিংয়ের কাজ শুরু করেছে। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আরব নিউজ।

সৌদি গণমাধ্যমটির তথ্যমতে, পাঞ্জাব এবং সিন্ধু প্রদেশে কর্পোরেট ফার্মিং শুরু করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এর জন্য সম্প্রতি ‘মেসার্স গ্রিন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের চুক্তি করেছে পাক সেনা।

জানা গেছে, পাকিস্তানের অর্থনীতির হাল ফেরাতে যে ‘স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট ফেসিলিটেশন কাউন্সিল’ তৈরি করা হয়েছে, সেই কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানেই এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রকল্পের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসকরা প্রায় ৫২ হাজার ৭১৩ একর অনুর্বর জমি চিহ্নিত করেছেন। ২০ বছরের জন্য ওই জমি সেনাবাহিনীকে লিজ দেওয়া হবে। তা দেখা-শোনা থেকে শুরু করে সমস্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে বাহিনীর হাতে, তবে জমির মালিকানা সরকারের কাছেই থাকবে।

খবরে বলা হয়েছে, গ্রিন করপোরেট ইনিশিয়েটিভ লিমিটেড লাভের ২০ শতাংশ স্থানীয় এলাকায় গবেষণা এবং উন্নয়নে ব্যয় করবে। ৪০ শতাংশ সরাসরি যাবে সরকারের ঘরে। লাভের অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ স্থানীয় পরিকাঠামো, সেচ, সৌরচালিত পানি সরবরাহ প্রকল্প, স্কুল, হাসপাতালের মতো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে ব্যয় করা হবে।

তবে কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কাজে এই জমি ব্যবহার করতে পারবে না পাক সেনারা। চাষের পাশাপাশি ওই জমিতে কোনো ব্যবসা বা অন্য কার্যকলাপের অনুমতি নেই। জমি অধিগ্রহণের আগে তা খুঁটিয়ে জরিপ করা হবে। জমিটি কোনো সংরক্ষিত জমি কি না কিংবা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্থান, জনবসতিপূর্ণ এলাকা, ম্যানগ্রোভ অরণ্য, বনভূমি, চারণভূমি, কবরস্থান, ঐতিহাসিক পানিপথের মধ্যে পড়ে কি না, তা দেখা হবে।

স্থানীয় জনগণ যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রকল্পের জন্য একটি পরিচালন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য এই বোর্ডের সদস্যরাই সব সিদ্ধান্ত নেবেন।

কয়েক বছর ধরেই একটানা অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি মুদ্রার দাম একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। আর এর সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক সংকট। এই জোড়া সংকটে বেহাল দশা পাকিস্তানের। তা সামাল দিতে এই নয়া উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা সময়ই বলে দেবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: