তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রথম দিকে এরদোগান বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে তিনি পিছিয়ে পড়েন।
সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়, এ পর্যন্ত ভোট গণনা হয়েছে ৯০.৫৪% । এর মধ্যে রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান পেয়েছেন ৪৯.৮৬% ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারওগ্লু ৪৪.০৯% ভোট পেয়েছেন। আর সিনান ওগান পেয়েছেন ৫.৩০%।
নির্বাচনে বিভিন্ন বেসরকারি প্রাপ্ত ফলাফলের সূত্রে দেখা যায়, নির্বাচনে কেউই ৫০ ভাগের বেশি ভোট পাবেন না। এতে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদলু এজেন্সির চিফ রিপোর্টার বলেন, তুরস্কের এই নির্বাচনে এখন বিরোধী নেতার জয়লাভের কোন সম্ভাবনা নেই। এখন আসল বিষয়টা হলো এরদোয়ান কি ৫০% এর বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করবেন নাকি ৫০% এর কম পেয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ১৫ দিন পর আবার নির্বাচনে যেতে বাধ্য হবেন?
তুরস্কের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে আগামী ২৮ মে শীর্ষ দুই প্রার্থীকে নিয়ে হবে রানঅফ ভোট।
রোববারের ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে শীর্ষ দুই প্রার্থীকে নিয়ে আগামী ২৮ মে হবে রান-অফ ভোট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রেসিডেন্টের পদের লড়াইয়ে নামা চার প্রার্থীর মধ্যে মুহররম ইনসে তিন দিন আগে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন; তবে তার আগেই ব্যালট ছাপা শেষ হয়ে যাওয়ায় তার নাম বাদ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
শনিবার প্রচারের শেষ পর্যায়ে কিলিসদারোগলু আধুনিক সেক্যুলার তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আর ৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ান প্রচার শেষ করেন ইস্তাম্বুলের হায়া সোফিয়ায় মাগরিবের নামাজ পড়ে।
তুরস্কের নির্বাচনের দিকে মুসলিম বিশ্ব তাকিয়ে আছে, নামাজ শেষে উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে এক সমাবেশে এ নেতা এমনটা বলেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে।
এ তিনজনের বাইরে ব্যালটে থাকা অন্য নামটি উগ্র-জাতীয়তাবাদী সিনান ওগানের।
তুরস্কে এখন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বেশি হওয়ায় সবার চোখ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে থাকলেও আইন প্রণয়ের গুরুত্ব থাকায় পার্লামেন্ট নির্বাচনও হেলাফেলার নয়।
তুরস্কের সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে পার্লামেন্টে আসন পেতে হলে প্রাপ্ত ভোটের ন্যূনতম ৭ শতাংশ লাগে, যে কারণে বেশিরভাগ দলই জোট করে নির্বাচনে নামে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: