শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শুরু মিয়ানমারে। রোববার (১৪ মে) দেশটির রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিট্যুয়েতে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের পর যখন ঘূর্ণিঝড়টি সিট্যুয়েতে আঘাত হানে তখন এর প্রভাবে গাছপালা উপড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। একটি মোবাইল টাওয়ার বাতাসের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে। এমনকি বাতাসের তীব্র গতির কারণে বাড়িঘরও কেঁপে ওঠে।
সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কায় মিয়ানমারের উপকূলের আশপাশের এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
ইরাবতী আরও জানিয়েছে, রাখাইনের সিট্যুয়ের পাশাপাশি কিয়াউকফিউ, মংডু, রাথেদাউং, মাইবোন, পাউকতাও এবং মুনাং শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে মিয়ানমারের জান্তা। এ ছাড়া এসব শহর ও এলাকাগুলোতে একই সতর্কতা জারি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তাবিরোধী বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার।
দেশটির উপকূলীয় রাখাইন রাজ্য থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লক্ষাধিক মানুষকে।
এদিকে ক্যানবেরা নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্যের উদ্ধারকারী দল তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, তারা তাচিলেক শহরে ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে চাপা পড়া এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মধ্য মান্দালয় অঞ্চলের পাইন ও লুইন শহরে গাছের নিচে চাপা পড়ে একজন মারা গেছেন।
মিয়ানমারের আবহাওয়া দপ্তর জানায়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকা আজ বিকেলে মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করা শুরু করে। এসময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার। রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের কাছ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র অতিক্রম করবে।
রোববার সকাল থেকে মোখার প্রভাবে সিট্যুয়ে ও দক্ষিণে থান্ডওয়ে শহরে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টি লক্ষ্য করা গেছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে মিয়ানমারে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: