টেলিভিশনে লাইভ শো চলাকালীন হঠাৎই স্টুডিওর ভেতরে ঢুকে পড়ে মুখোশপরা বন্দুকধারীর দল। লাইভ অনুষ্ঠানের অতিথি-কলাকুশলীদের জিম্মি করে তারা। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের গুয়াকিলে ৯ মঙ্গলবার সরকারি টিভি চ্যানেল টিসির স্টুডিওতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে সন্ত্রাসী গ্যাং। খবর বিবিসির।
বাড়িতে বসেই দর্শকরা টেলিভিশনে দেখতে পেলেন, বন্দুকধারীরা লাইভ অনুষ্ঠানে থাকা অতিথি, কলাকুশলীদের বন্দি করে একে একে হাত পিছমোড়া করে বেঁধে মেঝেতে শুইয়ে দিচ্ছে। শোনা গেল গুলির শব্দ, চিৎকার-চেঁচামেচি।
আতংক ছড়িয়ে পড়ে সবার মধ্যে। অ্যাঙ্করের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মাটিতে বসানো হয়। বন্দুকধারীর কাছে হাতজোড় করে অ্যাঙ্করের আর্তি শোনা যায়, ‘প্লিজ মারবেন না আমাদের, গুলি করবেন না।’ এরপরই বন্ধ হয়ে যায় সম্প্রচার।
পরে প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়ার নির্দেশে সেনাবাহিনী অভিযান চালালে পরাস্ত হয় বন্দুকধারীরা। গ্রেপ্তার করা হয় অন্তত ১৩ জনকে। দেশজুড়ে জারি করা জরুরি অবস্থার মধ্যেই এ ঘটনায় আতঙ্কিত ইকুয়েডরের সাধারন মানুষ।
সম্প্রতি কলোম্বিয়া, মেক্সিকো ও পেরুর চোরাকারবারীদের মধ্যে মাদক পাচারের রুট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাত দেখা দিয়েছে। ইকুয়েডরও ওই মাদকপাচারের অন্যতম রুট এবং দেশটির বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্যাং এরসঙ্গে জড়িত।
এ নিয়ে ইকুয়েডরেও অশান্ত অবস্থার মধ্যেই গুয়াকিল শহরের কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে চোনেরোস গ্যাংয়ের প্রধান অ্যাডলফো ম্যাকিয়াস ভিলামার, যিনি ফিটো নামে পরিচিত।
গ্যাংটি দেশের সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। এরপরই সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট নোবোয়া।
টিভি স্টুডিওতে হানা দেওয়া বন্দুকধারীরা কুখ্যাত গ্যাংস্টার ফিটোর অনুসারী কিনা, তা জানা না গেলেও গত কয়েকদিনে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বিভিন্ন গ্যাংয়ের অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: