আধুনিক তুরস্কের শতবর্ষের ইতিহাসে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ (১৪ মে) রবিবার। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৫টায় শেষ হবে ভোট গ্রহণ। দেশজুড়ে অসংখ্য ভোটকেন্দ্রে ভোট দেবেন প্রায় সাড়ে ৬ কোটি তুর্কি নাগরিক।
২০ বছর ধরে তুরস্কে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান এবারই প্রথম সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী থাকলেও এরদোগানের সাথে মোকাবেলা হবে মূলত সম্মিলিত বিরোধী দলের কেমেল কিলিচদারুগ্লুর। অপর দুই প্রার্থী হচ্ছেন মুহারেম ইনসে ও সিনান ওগান।
তুরস্কের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পেলে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন হতে হয়। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে জয়ী প্রার্থীই বিজয়ী ঘোষিত হন। তিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেবেন তারা। নির্বাচনে মোট ২৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। পার্লামেন্টের ৬০০ আসনের বিপরীতে লড়াই করছেন ১৫১ স্বাধীন প্রার্থী।
এবারের নির্বাচনে কে জয়ী হবেন, তা বলা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এখনো পাল্লা এরদোগানের দিকে ঝুঁকে আছে। কারণ অর্থনীতি ও সংসদীয় ব্যবস্থার ইস্যুর চেয়ে তুরস্কের বড় সংখ্যক মানুষ অখন্ডতা উন্নয়ন ও স্থিতির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মনে হয়।
তুরস্কের নির্বাচন কামিশন নির্বাচনী জরিপ প্রকাশ আনুষ্ঠানিক গণমাধ্যমে নির্বাচনের ১০ দিন আগে থেকে নিষিদ্ধ করলেও সামাজিক গণমাধ্যমে তা প্রকাশ হচ্ছে।
এক জরিপে বলা হয়েছে, রজব তাইয়্যেপ এরদোগান ৫১.৩ শতাংশ, কেমাল কিলিচদারোগলু ৪৪.২ শতাংশ, সিনান ওগান ৩.৯ মতাংশ আর মুহাররেম ইনসে ০.৬ শতাংশ ভোট পাবেন।
অন্য দিকে ৬০০ ভেকিল এর জরিপে বলা হয়েছে এরদোগান পাবেন ৪৭ শতাংশ, কিলিচদারুগ্লু ৪৯.৫ শতাংশ, ওগান ৩.৫ শতাংশ আর ইন্স ০ শতাংশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: