কাতারে আটক ৮ ভারতীয় সাবেক নৌ-কর্মকর্তার সাজা কমাল আদালত

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৯

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক আট কর্মকর্তার সাজা কমিয়েছে কাতার। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে কাতারের আদালত তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। একই দিনে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর শুনানি শেষে কাতারের আদালত মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট ভারতীয়র সাজা কমিয়ে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সাজা কমলেও তাদের দীর্ঘদিন ধরে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত নভেম্বরে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কাতারের উচ্চ আদালতে আবেদন জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলে, শুনানির সময় ওই আট সাবেক কর্মকর্তার স্বজনদের সঙ্গে কাতারে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এখন বিস্তারিত রায়ের কপি হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে ভারত। বিশদ জানার পরে কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এ বিষয়ে তারা আইনি সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

এর আগে আটজন সাবেক ভারতীয় নৌসেনা কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় কাতারের একটি আদালত। তাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে।

২০২২ সালের আগাস্ট মাসে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে কাতারের কারাগারেই বন্দি রয়েছেন তারা। চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন কাতারের আদালত অব ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স।

দণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের সাবেক নৌ-কর্মকর্তারা হলেন, ক্যাপ্টেন নবতেজ সিংহ গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুণাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা এবং নাবিক রাজেশ।

এসব ভারতীয় কাতারের ডাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। প্রতিষ্ঠানটি কাতারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও স্বল্প পরিসরে কিছু সেবা দিতো।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে ডাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসাল্টেন্সি সার্ভিসেসের স্পর্শকাতর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সাবেক ওই নৌসেনারা। ওই বিভাগে সাবমেরিন সম্পর্কিত কার্যক্রম চলতো। আর ওই কাজের ফাঁকেই ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার সময় ধরা পড়েন তারা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: