ইসরায়েলি এক রিয়েল এস্টেট কোম্পানির বিজ্ঞাপন নিয়ে তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। উঠেছে নিন্দার ঝড়। বিজ্ঞাপনটি ইসরায়েলি সরকার সমর্থিত বলেও সন্দেহ প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। তবে বিজ্ঞাপনটিকে নিছক মজা বলে উড়িয়ে দিতে চাইছেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারী।
বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানির নাম ‘হারে জাহাভ’। কোম্পানিটি তাদের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে গাজার সমুদ্রপাড়ের বিধ্বস্ত একটি অঞ্চলের ছবি। যেখানে গুঁড়িয়ে দেয়া ফিলিস্তিনীদের ঘরবাড়ির জায়গায় করা হয়েছে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্সের নকশা। উপরে ক্যাপশন- ‘সমুদ্রপাড়ে বাড়ি এখন আর স্বপ্ন নয়।’
বিজ্ঞাপনটি ‘হারে জাহাভ’র ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পরই ভাইরাল হয়ে যায়। ওঠে নিন্দার ঝড়। তবে কি নতুন করে ফিলিস্তিনীদের জায়গা দখলের ফন্দি করছে ইসরায়েল? বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনা করেছেন বিদেশি মানবাধিকার কর্মীরা।
মানবাধিকার কর্মী সারাহ উইকিনসন বলেন, গাজায় যে গণহত্যা চলছে তার সাথে নিশ্চয়ই এই রিয়েল এস্টেট ফার্মগুলোর যোগসাজশ রয়েছে। তাদের অর্থায়নেই এমন নির্বিচার হত্যা চলছে। এখন তারা মৃত্যুপুরী গাজায় বাড়ি বানাতে চায়। আমি জানতে চাই যেখানে হাজার হাজার নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যু হয়েছে সেখানে কীভাবে আপনি বসবাস করতে চান? সমুদ্র পাড়ের দৃশ্য উপভোগ করতে চান?
তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজ্ঞাপনটিকে নিছক মজা বলে উল্লেখ করেছেন হারে জাহাভ’র স্বত্ত্বাধিকারী জিভ এপশটেইন। বলেন, বিজ্ঞাপনটিকে আপনি মজাও বলতে পারেন। আবার যুদ্ধ শেষে কী হতে পারে তার একটি সম্ভাব্য ধারণাও বলতে পারেন। ঐ স্থানে অনেক ইসরায়েলির বাস ছিলো। ২০০৫ সালে তাদের জোরপূর্বক উৎখাত করা হয়েছে। যুদ্ধের পর তাদেরকে আবার ঐ স্থানে ফিরতে দেয়া হতে পারে। তবে, এটা কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফিলিস্তিনের পশ্চীম তীরে অবৈধ বসতিগুলোর সিংহভাগই নির্মাণ করেছে আলোচিত এই রিয়েল এস্টেট কোম্পানি হারে জাহাভ। এছাড়া রিয়েল এস্টেট কোম্পানিটির প্রায় ৯০ শতাংশ সদস্য ও কর্মকর্তা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্য। তাই নেতানিয়াহু প্রশাসনের সত্যিকার অর্থেই এমন কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
সূত্র : আল-জাজিরা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: