মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রায় ১০ মাস পর এই ঘোষণা এলো। রোগটি আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল এবং বছরখানেক আগে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিশ্বসংস্থাটি ঘোষণা করে এমপক্স প্রাদুর্ভাব আর বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ নয়। তাই এ বিষয়ক `বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ তুলে দেয়া হলো। গত বছর ২৪ জুলাই মাঙ্কিপক্স নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রোগের প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগ বলে চিহ্নিত করা হয়। এরপর থেকে এই রোগে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমে যায়।
বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। তবে তিনি বলেছেন, এই রোগটি এখনও একটি হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে, বিশেষ করে আফ্রিকার সেই অঞ্চলগুলোতে যেখানে এই ভাইরাসটি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাবের সময় ১১১টি দেশ থেকে ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার এবং তাদের মধ্যে ১৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া পূর্বে তিন মাসের তুলনায় গত তিন মাসে বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ৯০ শতাংশ কম রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।
উল্লেখ্য, গত বছর থেকে মাক্সিপক্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। অর্থাৎ প্রায় এক বছরের মাথাতেই এই সংক্রমণকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ডব্লিউএইচও
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: