উত্তর তানজানিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪৭ জন নিহত এবং ৮০ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন। দেশটির হানাং পর্বতের ঢালের কাছে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রপতি সামিয়া হাসানের নির্দেশে উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
অনেক রাস্তা কাদা, পানি এবং গাছ ভেঙ্গে পড়ে বন্ধ হয়ে পড়েছে।
গত শনিবার রাজধানী ডোডোমা থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ মাইল) উত্তরে কাটেশ শহরে ভারি বৃষ্টিপাত হয় বলে জেলা প্রশাসক জেনেথ মায়াঞ্জা জানিয়েছেন। উত্তর তানজানিয়ার মানিয়ারা এলাকার আঞ্চলিক কমিশনার কুইন সেন্ডিগা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আজ (গতকাল রবিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৭ ও আহত ৮৫ জনে পৌঁছেছে।’ হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
তানজানিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রপতি সামিয়া হাসানে বলেন, ‘আমরা এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত।’ তানজানিয়ার রাষ্ট্রপতি বর্তমানে কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনের জন্য দুবাইতে অবস্থান করছেন।
তানজানিয়ায় সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপদ বন্যা। প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ বন্যার শিকার হয়।
গত মাসে তানজানিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানী দার এস সালাম এবং কিগোমা, কাগেরা, গেইতা এবং উনগুজা এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দেশের কিছু অংশে ফসল ভেসে গেছে, ফলে মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর প্রভাব পড়েছে। তানজানিয়ার আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, এই মাসে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। পূর্ব আফ্রিকা ২০২৩ সালে বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: