প্রথমবারের মতো মহাকাশে গুপ্তচর উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ উড়ানে সাহায্য করেছে আলোচিত উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর চিরবৈরী প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে উত্তেজনার তৈরি হয়। তবে পাল্টা জবাব হিসেবে মহাকাশে নিজেদের নজরদারি প্রযুক্তি পাঠাতে বেশি সময় নিল না সিউল।
গতকাল ১ ডিসেম্বর, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল দশটায় স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে চড়ে ক্যালিফর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস স্টেশন থেকে উপগ্রহটি যাত্রা করে। ওই রকেট জুড়ে ক্যাপিটাল লেটারে লেখা ছিল ‘কোরিয়া’।
গোয়েন্দা উপগ্রহটি সফলভাবে কক্ষপথে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োহনাপ।
এর সিউলের তৈরি উপগ্রহটি মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর দুই কোরিয়ায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সেই উত্তেজনা স্বভাবত জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে পর্যন্ত পৌঁছে।
এদিকে আজ শনিবার সকালে কিম জং উন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেছে, পিয়ংইয়ংয়ের উপগ্রহে হস্তক্ষেপের যেকোনো চেষ্টা যুদ্ধের শামিল। উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়েছে রয়টার্স জানায়, মহাকাশ প্রতিরক্ষায় হস্তক্ষেপ হলে গুপ্তচরবৃত্তিকে কঠিন জবাব দেবে দেশটি।
গত মাসে উত্তর কোরিয়া দাবি করে, তারা সফলভাবে মহাশূন্যে গোয়েন্দা উপগ্রহ স্থাপন করেছে। দুটি ব্যর্থ চেষ্টার পর হাল প্রযুক্তির এ আকাশযুদ্ধে তৃতীয় দফায় সফল হয় পিয়ংইয়ং। তাদের পর এবার একই পথে পা বাড়াল সিউল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: