কপ২৮ সম্মেলন: চুক্তিতে জীবাশ্ম জ্বালানির অন্তর্ভুক্তি চায় আমিরাত

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:০৩

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


বছরজুড়ে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে, যার পেছনে অনেকাংশে দায়ী করা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনকে। এমন প্রেক্ষাপটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গতকাল ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে জাতিসংঘের ১৩ দিনের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৮। সম্মেলনের শুরুতে সভাপতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্র্রী সুলতান আল জাবের বলেছেন, জলবায়ু চুক্তিতে অবশ্যই জীবাশ্ম জ্বালানিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে পুরোপুরি সরে আসতে প্রায় ২০০টি দেশ আহবান জানিয়েছে। তবে কয়েকটি প্রভাবশালী দেশ এর বিরোধিতা করেছে।

আরব আমিরাতের তেল কম্পানি এডনকের প্রধান ও কপ২৮ সম্মেলনের সভাপতি সুলতান আল জাবের বলেন, ‘কোনো বিষয় যাতে আলোচনার বাইরে না থাকে। আমাদের অবশ্যই জীবাশ্ম জ্বালানির অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এবং উপায় খুঁজতে হবে।’উল্লেখ্য, জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসিসি) মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস বা কপ।

এই কর্তৃপক্ষটি মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করে। ১৯৭টি দেশ এর সদস্য।
এবারের কপ২৮ সম্মেলনে ১৪০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারি প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞ ও আন্দোলনকর্মীসহ অন্তত ৭০ হাজার মানুষ অংশ নিচ্ছে। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন না। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত দেশ হিসেবে তাঁর অনুপস্থিতি নজর কাড়বে।

মিসরের শারম-আল-শেখে অনুষ্ঠিত কপ২৭ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি তহবিল গঠনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। নানা জটিলতায় তা আর এগোয়নি। তবে গতকাল কপ২৮ সম্মেলনের প্রথম দিনেই এটি কার্যকর করা হয়েছে। কপ২৮-এর সভাপতি সুলতান আহমেদ আল জাবের বলেন, ‘আজ (গতকাল) আমরা ইতিহাস গড়েছি।

এটি বিশ্বকে আমাদের কাজের গতি নিয়ে একটি ইতিবাচক বার্তা দেবে। আমরা প্রমাণ করেছি যে আমরা পারি এবং পারব।’ এই তহবিলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জার্মানি ১০ কোটি ডলার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
যেদিকে নজর থাকবে সবার

তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের বিষয়ে নেতারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, সবার নজর সেদিকে রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন তিন গুণ বাড়ানোর ব্যাপারে বিভিন্ন দেশ স্বেচ্ছায় প্রতিশ্রুতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এবারের সম্মেলনে অন্যতম প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেন নিঃসরণ কমানো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো খাদ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে আলোচনা হবে। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে তা পরিবহন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়। তাই খাদ্য ব্যবস্থাপনাকেও জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ মনে করা হয়।


সূত্র : এএফপি

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: