যত ফিলিস্তিনির মুক্তি, প্রায় ততজনই গ্রেফতার

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:৩১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল, হামাসের হাতে আটক ইসরাইলিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে তিন গুণ ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে হবে। সে শর্ত মেনে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিলেও, যুদ্ধবিরতি চলাকালে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম থেকে প্রায় একই সংখ্যক মানুষকে গ্রেফতার করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

প্যালেস্টেনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি চলাকালে প্রথম চার দিনে হামাস ৬৯ জিম্মিকে মুক্তি দেয়। তাদের মধ্যে ইসরাইলি ৫১ জন ও অন্য দেশের নাগরিক ১৮ জন।

অন্যদিকে, একই সময়ের মধ্যে ইসরাইল থেকে মুক্তি পেয়েছে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে ১১৭ জন শিশু ও ৩৩ জন নারী। কিন্তু একই সময়ের মধ্যে ১৩৩ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

প্যালেস্টেনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটির মুখপাত্র আমানি সারাহনেহ বলেন, যতদিন পর্যন্ত ইসরাইলি দখলদারত্ব বহাল থাকবে, ততদিন ফিলিস্তিনি গ্রেফতার বন্ধ হবে না। এই গ্রেফতারের ঘটনা যে ৭ অক্টোবরের পর থেকেই শুরু হয়েছে এমন নয়, তারা প্রতিদিনই এমন অভিযান চালায়। এমনকি, যুদ্ধবিরতির প্রথম চার দিনে কয়েদি মুক্তির চেয়ে বেশিসংখ্যক ফিলিস্তিনি গ্রেফতার হলেও আমি অবাক হতাম না।

৭ অক্টোবরের আগে ইসরাইলি কারাগারে ছিল ৫ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি। হামলার পরবর্তী দুই সপ্তাহে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে ধরপাকড় বাড়ায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ইসরাইলের কারাগারে ফিলিস্তিনি কয়েদি প্রায় দ্বিগুণ হয় ও সংখ্যায় তা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ফিলিস্তিনি কয়েদিদের আইনজীবী ও পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংস্থা বলেছে, ৭ অক্টোবরের পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম থেকে ৩ হাজার ২৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনিরা বলছেন, ইসরাইল আমাদের বন্দীদের মুক্তি দেয়ার পর আবার গ্রেফতার করে। এমনকি, মুক্তি দেয়ার কয়েক দিনের মধ্যে আবার গ্রেফতার করার নজিরও রয়েছে। ২০১১ সালে ইসরাইল-হামাসের বন্দীবিনিময়ের ইতিহাস তা-ই বলে। তাই তারা এখনো শঙ্কা থেকে বের হয়ে আসতে পারছেন না।


সূত্র : আলজাজিরা

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: